ওয়ানডে ফরম্যাটে ভারতের সবশেষ বৈশ্বিক শিরোপা এসেছিল ২০১৩ সালে। দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল ভারত। আর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিতেছিল তারও দুই বছর আগে।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের সম্ভাব্য শেষ টুর্নামেন্ট মনে করা হচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকেই। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণকে বিদায় জানিয়েছেন এই দুই কিংবদন্তি। ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সম্ভাব্য শেষ টুর্নামেন্টে রোহিত-কোহলির ভারতের যাত্রা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের পর্দা আজ উঠলেও ভারত নিজেদের মিশন শুরু করবে আগামীকাল (বৃওস্পতিবার) দুবাইয়ে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে দারুণ খুশি বিরাট কোহলি। না, বাংলাদেশকে সহজ প্রতিপক্ষ মনে করছেন না কোহলি। বরং একটা বিশ্বাসের জায়গা থেকে খুশি হয়েছেন ভারতের এই সুপারস্টার। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেললে সেই প্রতিযোগিতা ভালো যায় ভারতের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাঠে নামার আগে এই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কোহলি।
ওয়ানডে ফরম্যাটে ভারত শেষবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১১ সালে। সেবার ভারত প্রথম ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। আর ২০২৪ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। শেষ পর্যন্ত ভারত ১৭ বছর পর ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সেই দুই ম্যাচের উদাহরণই টানলেন কোহলি।
ব্রডকাস্ট চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুইবার আমরা প্রথম ম্যাচ খেলেছি। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দুইবারই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাই তাদের (বাংলাদেশ) বিরুদ্ধে শুরুটা হলে সেই টুর্নামেন্ট আমাদের ভাল যায়। এ বারও আশা করছি সেটাই হবে।’
২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো মাঠে গড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কোহলি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে এই টুর্নামেন্ট তার অনেক পছন্দের। প্রথম সারির দল খেলায় এই টুর্নামেন্টে খেলাগুলো টানটান উত্তেজনার হয় বলে মনে করেন তিনি, ‘অনেক বছর পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা আমার ব্যক্তিগত ভাবে খুব ভাল লাগে। কারণ, প্রথম আটে থাকা দল এই প্রতিযোগিতায় খেলে। তাই সারা বছরই ভাল খেলতে হয় (সুযোগ পেতে)। প্রথম সারির দল খেলায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টান টান লড়াই হয়।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির ইভেন্টে দীর্ঘদিনের শিরোপাখরা ঘুচিয়েছে ভারত। এবার ভারতের সামনে সুযোগ নয়মাসের ব্যবধানে আরও একটি বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তোলার। এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিলও দেখছেন কোহলি। এখানেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো ম্যাচের সংখ্যা কম হওয়ায় পিছিয়ে পড়লে ফিরে আসার সুযোগ কম বলে মনে করেন তিনি। ফলে ভালো করার চাপ থাকে।
কোহলি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা যে চাপ নিয়ে খেলেছি সেটাই এখানে খেলতে চাই। কারণ, দুটি প্রতিযোগিতাই খুব ছোট। শুরু থেকেই জিততে হবে। একটা ম্যাচ খারাপ হলে চাপ বেড়ে যেতে পারে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মানসিকতা নিয়েই এখানে খেলতে চাই।’
Leave a Reply