free tracking

My Blog

My WordPress Blog

রোজায় পানির অভাব থেকে রক্ষা পেতে এড়িয়ে চলুন এসব খাবার!

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি হারিয়ে যায়, যার ফলে অনেকেই পানিশূন্যতায় (ডিহাইড্রেশন) ভোগেন। দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা হতে পারে।

এজন্য সেহরি ও ইফতারে এমন খাবার খাওয়া জরুরি যা শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখবে। কিছু খাবার পানি শোষণ করে নেয় এবং পানিশূন্যতা বাড়িয়ে দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
লবণ শরীরে পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বেশি পানি বের করে দেয়। অতিরিক্ত লবণ খেলে গলা শুকিয়ে যায় এবং তৃষ্ণা বেড়ে যায়। তাই সেহরিতে বেশি লবণাক্ত খাবার যেমন শুটকি, আচার ও চিপস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার
ইফতারে পেঁয়াজু, বেগুনি, সমুচা বা বেশি মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর গরম হয়ে যায় এবং পানির চাহিদা বেড়ে যায়। এসব খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে দেয়, যা শরীরকে আরও পানিশূন্য করে তোলে।

চা ও কফি
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন চা ও কফি ডিহাইড্রেশন বাড়ায়। ক্যাফেইন প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে শরীর থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে যায়। তাই রোজায় বেশি চা বা কফি পান না করাই ভালো।

চিনি ও প্রসেসড ফুড
মিষ্টি খাবার যেমন মিষ্টি, কেক, ডোনাট, সফট ড্রিংকস বা কার্বোনেটেড পানীয় শরীরের পানির ভারসাম্য নষ্ট করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার চিনি শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে নেয়, ফলে পানিশূন্যতা বাড়ে।

বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার
গরুর মাংস, অতিরিক্ত ডিম বা প্রোটিন শেক বেশি খেলে শরীরের পানির চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ প্রোটিন হজমের সময় শরীর থেকে বেশি পানি খরচ হয়। তাই সেহরিতে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *