free tracking

My Blog

My WordPress Blog

বর্তমান সময়ে তরুণরা কেন হতাশায় থাকেন, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক চাপ অনেক বেশি, যা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি। ছবি: সংগৃহীত

সবাই জীবনে সুখী হতে চায়। মানুষের জীবন সহজ করতে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান একের পর এক নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আমাদের অনেক কাজ সহজ। এতো কিছুর মাঝেও তরুণদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, বর্তমান সময়ের তরুণরা পূর্বের তুলনায় অনেক কম সুখী। তাদের ভালো থাকার জন্য বিভিন্ন বিষয় থাকলেও তরুণ সমাজের মনে শান্তি নেই।

আলজাজিরা থেকে জানা যায় গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক চাপ অনেক বেশি, যা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি। এবং এটি কমবেশি সারা বিশ্বের তরুণদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, এমনটাই দেখা যাচ্ছে অন্যান্য দেশগুলির গবেষণায়ও।

জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক দশকে তরুণদের জীবনসন্তুষ্টি ও সুখের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) কর্তৃক প্রকাশিত এই গবেষণাটি সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জিন টোয়েঙ্গি এবং ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ ডেভিড জি ব্ল্যাঙ্কফ্লাওয়ারের যৌথ প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী  তরুণদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক চাপ অনেক বেশি, যা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি। ছবি: সংগৃহীত

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী  তরুণদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক চাপ অনেক বেশি, যা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি। ছবি: সংগৃহীত

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী  তরুণদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক চাপ অনেক বেশি, যা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি। এবং এটি কমবেশি সারা বিশ্বের তরুণদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, এমনটাই দেখা যাচ্ছে অন্যান্য দেশগুলির গবেষণায়ও।

গবেষণার ফলাফল: গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ের তরুণরা অতীতের তুলনায় কম সুখী। বিশেষত, স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে তাদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে। জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক দশকে তরুণদের জীবনসন্তুষ্টি ও সুখের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) কর্তৃক প্রকাশিত এই গবেষণাটি সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জিন টোয়েঙ্গি এবং ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ ডেভিড জি ব্ল্যাঙ্কফ্লাওয়ারের যৌথ প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্বের বিশ্বাস অনুযায়ী সুখের পরিমাণ বয়সের সঙ্গে বাড়লেও, বর্তমানে তরুণদের জীবনের মান এবং সুখের অনুভূতি নেমে যাচ্ছে।

গবেষকরা এটাও জানাচ্ছেন, স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ভালো থাকার সম্পর্ক রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

গবেষকরা এটাও জানাচ্ছেন, স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ভালো থাকার সম্পর্ক রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা: গবেষকরা এটাও জানাচ্ছেন, স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ভালো থাকার সম্পর্ক রয়েছে। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে তরুণদের মধ্যে মানসিক চাপ ও একাকিত্ব বেড়ে যাচ্ছে, যা তাদের সামগ্রিক সুখে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

২০২৪ সালে পিউ রিসার্চের একটি জরিপে পাওয়া যায় যে, তিন-চতুর্থাংশ আমেরিকান কিশোর মনে করেন, স্মার্টফোন ছাড়া তারা বেশি সুখী। তাছাড়া, যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপে সবচেয়ে কম সুখী কিশোররা ব্রিটেনের এবং তাদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া একটি বড় কারণ। গবেষক ডেভিড ব্ল্যাঙ্কফ্লাওয়ার বলেছেন, ইন্টারনেটই প্রধান কারণ, অন্য কিছু নয়।

এই গবেষণা তরুণদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। করোনা পরবর্তী বিশ্বে প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তরুণদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণদের জন্য এ সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠা খুবই জরুরি, যাতে তারা ভবিষ্যতে আরও সুখী ও সাফল হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *