রাজশাহীতে কাদিরগঞ্জের ষষ্ঠিতলা কিউট ছাত্রাবাসে এক রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম (শহীদ) প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের জেরে হামলার শিকার হন।
পুলিশ জানিয়েছে, এক তরুণীকে কেন্দ্র করে দুই তরুণ, হৃদয় ও মোস্তাক মিল্টন, দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এই তীব্র বিরোধের ফলস্বরূপ ছাত্রাবাসে হামলা চালানো হয়।
হামলার বিবরণ:হৃদয় মিল্টনকে ছাত্রাবাসে আটকে রেখে মারধর করেন। পরে, মিল্টনের পক্ষ থেকে কিছু লোক এসে পাল্টা আক্রমণ চালায়, যেখানে নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন। নুরুল ইসলাম বাঁ হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ছাত্রাবাসের আতঙ্ক:ছাত্রাবাসের মালিক রোকন উদ্দীন জানান, এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। হামলাকারীদের বেশিরভাগই এলাকার বাইরের লোক বলে দাবি করেন তিনি।
আইনি ব্যবস্থা:বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নুরুল ইসলাম মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
আন্দোলন ও হতাশা:নুরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সক্রিয় নেতা, এই ঘটনায় বেশ হতাশ। বর্তমানে তিনি কিছুটা ভালো থাকলেও শারীরিক ও মানসিকভাবে ভোগান্তির শিকার।
এই হামলার ঘটনায় রাজশাহীর ছাত্রমহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের এমন রূপ নৈতিক ও সামাজিক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
Leave a Reply