আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল ও থাইল্যান্ড নারী দল। ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় থাইল্যান্ড। তবে ব্যাট হাতে বাংলাদেশ নারী দলের শক্ত অবস্থানে সে সিদ্ধান্ত যে কতটা ব্যুমেরাং হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে স্কোরকার্ডেই।
৩৬.৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮০ রান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই অপরাজিত ব্যাটার—শারমিন আখতার ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা—থাইল্যান্ডের বোলারদের কোনো সুযোগই দিচ্ছেন না।
শান্ত শুরু, এরপর দৃঢ়তাবাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ছিল অপেক্ষাকৃত ধীর। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের ইনিংস গুছিয়ে নিয়েছেন ব্যাটাররা। ওপেনার ফারজানা হক ৮২ বল খেলে ৫৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নিগার সুলতানা, যিনি ইতোমধ্যেই ৩৬ রান করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
শারমিন আখতার এদিন খেলছেন ধৈর্য্য ও মনোযোগের দৃষ্টান্ত হয়ে। ৯৬ বল খেলে ৬৯ রানে অপরাজিত তিনি। এর মধ্যে রয়েছে নয়টি বাউন্ডারি। নিগারও কম যান না। মাত্র ৩১ বল খেলে ছয়টি চারের সাহায্যে করেছেন ৩৬ রান, স্ট্রাইক রেট ১১৬.১২।
বোলারদের দুর্দশাথাইল্যান্ডের বোলাররা এ ম্যাচে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। নাত্তায়া বুচাথাম ৫.৫ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিলেও উইকেট শূন্য। সুনিদা চাতুরোংগ্রাত্তানাও উইকেট না পেলেও খরচ করেছেন ২৬ রান। সুলিপর্ন লাওমি ও ফাননিতা মায়াও উইকেট শূন্য, যদিও মায়া ৬ ওভারে ২৮ রান দিয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন।
ম্যাচের পরিস্থিতিশেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ নারী দল তুলেছে ৩৪ রান, কোনো উইকেট না হারিয়ে। রান রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫-এর কাছাকাছি (সঠিক হার: ৪.৮৮)। বর্তমান পার্টনারশিপ ৬১ রানের, যা গড়া হয়েছে মাত্র ৫৯ বলে।
যদি এই জুটি আরও কিছুটা সময় টিকে থাকতে পারে, তবে ২৫০-এর ঘর স্পর্শ করাও অসম্ভব নয়।
Leave a Reply