সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তথ্য অনুযায়ী, দুর্জয়ের নামে থাকা ঢাকার একটি ফ্ল্যাট, তিনটি গাড়ি এবং একটি প্লট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুর্জয় এবং তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সিদ্ধান্তগত ৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত দুর্জয় এবং তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতে দেওয়া দুদকের লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয় ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুর্নীতির অভিযোগদুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্যের প্রতিবেদনে জানা যায়, দুর্নীতির মাধ্যমে দুর্জয় প্রথমে মোট ১১ কোটি ২১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে তিনি অপরাধমূলক অসাধাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ঘুষ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস গোপন এবং তা স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে দুর্জয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
অতীত ভূমিকানাইমুর রহমান দুর্জয় ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হন। পরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সম্পদের আদেশবর্তমানে তার নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের পাশাপাশি আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন। তদন্তের পর দুর্জয়ের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাইমুর রহমান দুর্জয় কিংবা তার পরিবারের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুর্নীতির এই অভিযোগ ঘিরে রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply