free tracking

My Blog

My WordPress Blog

ব্রেকিং নিউজঃ আজ বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ (২৩ জানুয়ারি) বাসায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, “খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটা উন্নত। তবে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তার বয়স এবং পূর্ববর্তী চিকিৎসা জটিলতার কারণে বিষয়টি আরও বিবেচনা করা হচ্ছে।”

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্রের অপেক্ষায়গত ১৭ দিনে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও কয়েকটি রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি, চিকিৎসকরা মনে করছেন যে তার ওষুধনির্ভর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। শুক্রবার রিপোর্টগুলো হাতে পেলে সন্ধ্যার মধ্যে হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

ছুটি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। লন্ডনের প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি এবং জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাজ্যে যাত্রার পটভূমিবাংলাদেশ সময় ৮ জানুয়ারি বিকেলে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সেখানে তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান তাকে স্বাগত জানান। আবেগঘন মুহূর্তে তারেক রহমান মাকে জড়িয়ে ধরেন এবং নিজে গাড়ি চালিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এর আগে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। তাকে বিদায় জানাতে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিবসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

চিকিৎসার অগ্রগতিখালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সম্ভাবনা নিয়ে চিকিৎসকরা এখনও দ্বিধায় আছেন। তারা মনে করেন, যদি আগে থেকেই তাকে বিদেশে আনা যেত, তাহলে হয়তো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা সহজ হতো। তবে ওষুধনির্ভর চিকিৎসায় তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, এবং এই পদ্ধতিতেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হবে।

বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার অপেক্ষায় তার পরিবার এবং দলের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনাকে ঘিরে লন্ডনে তার পরিবার ও সমর্থকদের মধ্যে স্বস্তি ও আবেগময় পরিবেশ বিরাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *