হার্ট অ্যাটাক এমন এক সমস্যা, যা মুহূর্তের মধ্যে জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। কিন্তু আশার কথা হলো—এই বিপদ হঠাৎ করেই ঘটে না। আমাদের শরীর আগেই কিছু সংকেত পাঠাতে শুরু করে। সময়মতো সেই উপসর্গগুলো চিনতে পারলে এড়ানো যেতে পারে বড় বিপদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগাম কিছু লক্ষণ থাকে, যেগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নিই এমন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ, যেগুলি দেখা দিলে অবহেলা নয়, বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
১. বুকে চিনচিনে ব্যথা:
সব সময় তীব্র ব্যথা না-ও হতে পারে। মাঝেমধ্যে হালকা চাপ বা অস্বস্তি অনুভব করলেও সেটা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস।
২. শ্বাসকষ্ট:
অকারণে বা হালকা পরিশ্রমেই যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তবে সেটা হৃদযন্ত্রের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৩. অস্বাভাবিক ক্লান্তি:
পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রামের পরেও যদি সারাক্ষণ অবসাদ ও দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে সেটাও হতে পারে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতার সংকেত।
৪. ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ বা বাহুতে ব্যথা:
শুধু বুকেই নয়, হৃদযন্ত্রের জটিলতা এই অঙ্গগুলোতেও ব্যথা তৈরি করতে পারে।
৫. হঠাৎ ঘাম:
ঘাম হলেও শরীর গরম হয় না, বরং ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে? এমন ‘কোল্ড সোয়েট’ হতে পারে বিপদের পূর্বাভাস।
৬. হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া:
অনেকেই এই লক্ষণটিকে অবহেলা করেন। তবে হঠাৎ হাত বা পায়ের সঞ্চালনে অসুবিধা বা ঠান্ডা অনুভব হৃদরোগের ইঙ্গিত দিতে পারে।
৭. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন:
হঠাৎ করে হার্টবিট খুব দ্রুত বা এলোমেলো হয়ে গেলে সেটাও হতে পারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।
৮. পেটে অস্বস্তি বা ব্যথা:
অনেক সময় বুকের বদলে পেটে ব্যথা, গা-গোলানো বা হজমের সমস্যা থেকেও হার্ট অ্যাটাক শুরু হতে পারে।
৯. মানসিক অস্থিরতা:
আচমকা আতঙ্ক, অ্যাংজাইটি বা অস্থিরতা বেড়ে গেলে সেটাও হতে পারে হৃদপিণ্ডের অসুস্থতার ফল।
১০. পরিচিত উপসর্গের অবহেলা:
অনেকেই উপরের উপসর্গগুলোকে সাধারণ শারীরিক ক্লান্তি বা স্ট্রেস ভেবে এড়িয়ে যান। তবে বারবার বা একসাথে একাধিক উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। কারণ, আগে থেকে সতর্ক থাকলে জীবন রক্ষা করা সম্ভব। আপনার শরীর যে বার্তা দিচ্ছে, সেটাকে গুরুত্ব দিন—আর নিজের যত্ন নিন সময়মতো।
Leave a Reply