ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে মঙ্গলবার বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। হামলা ঘটনার পর সেই বক্তব্য নিয়ে ভারতে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
কাশ্মীরের পেহেলগামে এমন এক সময় হামলার ঘটনা ঘটল যখন কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কাশ্মীরকে ইসলামাবাদের ‘জীবনরেখা’ হিসেবে হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
গত ১৬ এপ্রিল ইসলামাবাদে প্রবাসী পাকিস্তানীদের আয়োজিক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আসিম মুনির কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট, এটি ছিল আমাদের জীবনরেখা, এটি আমাদের জীবনরেখাই থাকবে, আমরা এটি ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের বীরোচিত সংগ্রামে একা ফেলে রাখব না।’
প্রবাসী পাকিস্তানিদের ওই সম্মেলনে আসিম মুনির বলেন, তারা আমাদের প্রতিনিধি, ভুলে গেলে চলবে না, তারাও উচ্চ ভাবধারা এবং সংস্কৃতি ধারণ করে।
পাক সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ‘আপনার সন্তানকে অবশ্যই পাকিস্তানের ইতিহাস জানাতে হবে। আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাস করতেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা হিন্দুদের থেকে ভিন্ন। আমাদের ধর্ম, রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাধারা ও আকাঙ্ক্ষা সবকিছুই তাদের থেকে আলাদা। এই বিশ্বাসের ভিত্তিতেই দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।’
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে আজাদ কাশ্মিরের মুজাফফরাবাদের প্রবীণ ও নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে জেনারেল আসিম মুনির বলেছিলেন, “পাকিস্তান ইতোমধ্যে কাশ্মিরের জন্য তিনটি যুদ্ধ করেছে এবং যদি আরও ১০টি যুদ্ধের প্রয়োজন হয় তবে পাকিস্তান সেই লড়াই করবে। পাকিস্তান ভারতের সামরিক শক্তি বা তার প্রযুক্তিকে ভয় পাবে না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কাশ্মীর হচ্ছে পাকিস্তানের শিরাগুলোর প্রধান শিরা। এই শিরা কেটে গেলে মৃত্যু ঘটে। কাশ্মির আমাদের জীবন। কোনও সন্দেহ নেই— কাশ্মীর একদিন স্বাধীন হবে এবং পাকিস্তানের অংশ হবে। পাকিস্তানই কাশ্মীরের জনগণের ভাগ্য।”
কাশ্মীরে হামলার পর পাকিস্তান সেনাপ্রধানের ওই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতে।
Leave a Reply