ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের কঠোর সমালোচনা করেছেন এক পাকিস্তানি সাংবাদিক। প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতের কর্মকাণ্ডকে “কাপুরুষোচিত ও বেপরোয়া” বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “৬ ও ৭ মে পরিচালিত ভারতীয় হামলায় ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল।”
তিনি অভিযোগ করেন, এসব হামলায় মসজিদ ও বসতবাড়ির মতো ধর্মীয় ও বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তার মতে, এটি মোদি সরকারের অধীনে মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি ভারতের একটি ধারাবাহিক বৈরী নীতিরই প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের আক্রমণ শুধু মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনছে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও হুমকির মুখে ফেলছে।”
পাকিস্তানের জবাব ‘রক্ষামূলক ও সুনির্দিষ্ট’
সাংবাদিকটি জানান, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এ ঘটনায় দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান সফলভাবে ভারতের পাঁচটি F-17 যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
তার ভাষায়, “এটি প্রমাণ করে যে পাকিস্তান শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আক্রমণ প্রতিহত করতেও সক্ষম। আমরা শান্তি চাই, তবে হুমকির মুখে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দ্বিধা করবো না।”
‘মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক আচরণ’
সাংবাদিকটি আরও বলেন, মোদি সরকারের নেতৃত্বে ভারত মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বৈরী নীতি গ্রহণ করেছে। মসজিদে হামলা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের উত্তেজনা: বিপর্যয়ের আশঙ্কা
সাংবাদিকটি বলেন, সাম্প্রতিক উত্তেজনার শুরু হয় ভারতে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা নিয়ে। এরপর ভারত সীমান্তে একের পর এক আক্রমণ চালায়। এমনকি একটি ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনাও ঘটেছে, যেখানে নিরস্ত্র নাগরিকরা ছিল লক্ষ্যবস্তু।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল আচরণ না করলে ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ।”
Leave a Reply