রুশ থেকে শুরু করে ফরাসি প্রযুক্তি; রয়েছে চতুর্থ-পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের বহরও। অথচ বরাবরই যুদ্ধের ময়দানে দুর্বলতার ছাপ রেখেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। আধুনিকতার ছোঁয়া থাকলেও ঠিক যেন তা কাজে লাগাতে পারেনি মোদি বাহিনী। সম্প্রতি, পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে পাঁচ ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের ঘটনায় আবারও সমালোচনার মুখে দেশটির বিমান বাহিনী।
রাশিয়া আর ফ্রান্সের প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমামে সুসজ্জিত ভারতের বিমানবাহিনী। বহরে রয়েছে ৪.৫ জেনারেশনের রাফাল যুদ্ধ বিমানসহ মিগ-২৯, মিরাজ-২০০০ এর মত চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক ফাইটার জেট।
বলা হয়ে থাকে, নানা দেশের যুদ্ধ জানের সমারোহে বৈচিত্রে ভরপুর ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। কিন্ত সেই বৈচিত্রের যেন দেখা মেলে না রণাঙ্গনে। একের পর এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে নয়াদিল্লি।
যার সবশেষ উদাহরণ, পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা।
ভারতীয় বাহিনীর গর্ব তকমা পাওয়া যুদ্ধবিমানের নাম রাফাল। ফরাসি প্রযুক্তির এই আকাশ যানটি নিয়ে শো অফের কোন কমতি ছিল না। কিন্ত ইসলামাবাদের কাছে নাজেহাল হয়ে বিধ্বস্তের পর চুরমার হয়ে গেছে ভারতের বিমানবাহিনীর সেই গর্ব।
পাক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বংস হয় ৩টি রাফাল ফাইটার জেট। ভূপাতিত হয় আরো দুইটি ফাইটার জেট।
শুধু এ ঘটনাই নয়, ২০১৯ সালে বালাকোটে হামলা চালাতে গিয়ে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত হয় ভারতের একটি মিগ-২১ ফাইটার জেট। পরে আটক করা হয় উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে।
কয়েকদিন আগেও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের ধাওয়া খেয়ে লাইন অফ কন্ট্রোল থেকে পালায় ভারতের ৪টি রাফাল ফাইটার জেট। পরে জানা যায়, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে যুদ্ধ যানগুলো রাডার জ্যাম করায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেগুলো।
সময় সময় প্রশিক্ষণ কিংবা মহড়াকালীন বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ইতিহাস রয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর। যুদ্ধবিমানের দুর্বলতা নাকি পাইলটের দক্ষতার অভাবে এমন অবস্থা সে প্রশ্ন উঠছে আবারও।
Leave a Reply