পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে দেশটির পাঞ্জাব পুলিশের শতাধিক সদস্যকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও টিম হোটেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইকোনমিক টাইমস
সম্প্রতি রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচে মাঠে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। তেহরিক-ই-লাব্বায়িক দলের প্রধান হাফিজ সাদ হোসেন রিজভির ছবি হাতে নিয়ে এক ভক্ত মাঠে প্রবেশ করেন এবং রাচীন রবীন্দ্রকে আলিঙ্গনের চেষ্টা করেন। ঘটনাটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ভালোভাবে নেয়নি।
পাকিস্তানের আদালত ঐ ভক্তকে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করেন এবং তাকে দেশটির সব ক্রিকেট ভেন্যুতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পিসিবি।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা সংক্রান্ত প্রতিবেদন উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। তিনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে। দেশি-বিদেশি দর্শকে স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ এবং পরিবেশ অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ।
গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও টিম হোটেলের নিরাপত্তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শতাধিক পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং অন্যান্য কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখান এসব পুলিশ সদস্য। পাকিস্তানের পিটিআই সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা পাঞ্জাব পুলিশের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পাঞ্জাব পুলিশের আইজিপি উসমান আনোয়ার বলেন, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও টিম হোটেলের মধ্যে দলের যাতায়াতের সময় কঠোর নিরাপত্তা থাকে। সেই কাজে যারা নিযুক্ত ছিলেন, তাদের অনেকে দায়িত্ব পালন করতে চাননি। কয়েকজন আবার কাজে উপস্থিত হননি। তাই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ইভেন্টের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা সহ্য করা হবে না। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply