free tracking

My Blog

My WordPress Blog

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় দেখতে গিয়ে চাচা আটক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইজিবাইক চালক আল আমিন হত্যা ও লাশ গুমের মামলার অন্যতম আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আটকের পর বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আকতার জুলিয়েট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর পরপরই তাকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।

নোমান হাসানকে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত চত্বরে জড়ো হওয়া ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তার রিমান্ড ও বিচার দাবি করেন। এদিকে নোমানকে তার চাচা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মনা দেখতে থানায় গেলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনকেই বিএনপি দলীয় কার্যালয় ভাঙার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নীলফামারী সদর উপজেলার ধনীপাড়া এলাকা থেকে আবু মো. নোমান হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩। পরে র‌্যাব তাকে নীলফামারী সদর থানায় হস্তান্তর করলে সেখান থেকে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশ নোমান হাসানকে পঞ্চগড়ে নিয়ে এসে আদালতে হাজির করে।

জানা যায়, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হয় আল আমিন। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এ মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসান। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ডোরোপাড়া এলাকার প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ছেলে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানকে র‌্যাবের সহযোগিতায় নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আল আমিন হত্যা ও গুমের মামলাসহ ৪টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। একই সঙ্গে তার চাচা মিজানুর রহমান মনাকেও আটক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *