৪ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন, ভারতীয় ক্রিকেটার মুহাম্মদ শামিকে এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করতে দেখা যায়। তিনি রোজা পালন না করায় এনিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এনিয়ে শামির সমালোচনায় সরব হয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট মৌলানা শাহবুদ্দিন রাজভি বরেলভি। উপবাস না করায় শরিয়ত অনুয়ায়ী তিনি “অপরাধী” বলে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
এই চর্চার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে শামিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “ওই দিন আমি রোজা ভেঙেছিলাম। মুসলিম ভাই-বোনেরা দয়া করে আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি এটা ইচ্ছা করে করিনি। আমাকে রোজা ভাঙতে জোর করা হয়েছে। অন্যথা, এরা আমার কেরিয়ার নষ্ট করে দিত। আমি আবার আমার মুসলিম ভাই-বোনদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” কিন্তু, এই ভিডিওটির কি আদৌ কোনও সত্যতা আছে ?
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে গুগল কিওয়ার্ড সার্চ করে factly. কিন্তু, ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর রোজা না পালন করার জন্য মহম্মদ শামির ‘ক্ষমা’ চাওয়া সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু, এরকম কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
ভাইরাল ভিডিওর কি ফ্রেম থেকে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে মহম্মদ শামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একই রকম একটি ভিডিও পাওয়া যায়। যেটা ২০২৪ সালের ১১ এপ্রিল পোস্ট করা হয়েছিল। সেই ভিডিও, শামিকে ভাইরাল ক্লিপে যে পোশাক পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে, সেই একই পোশাকে দেখা যায়। সেখানে শামি ইদের শুভেচ্ছা জানান। বলেন, “ইদের মিষ্টি উপভোগ করুন আজ ইদ। খুব সুন্দর করে ইদ পালন করুন।” যদিও সেই ভিডিওয় কোথাও তাঁকে রোজ ভাঙার উল্লেখ করতে শোনা যায়নি এবং ক্ষমা চাওয়ারও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি।
২০২৪-এর ১১ এপ্রিল শামির আরও একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট পাওয়া যায়। যেখানে তাঁকে ভাইরাল ভিডিওর পোশাকেই দেখা যাচ্ছে। সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, “আমার সব বন্ধু ও পরিবারকে ইদ মোবারক। আজকের এই বিশেষ দিনটা আনন্দ, ভালোভাসা ও আশীর্বাদে ভরে যাক। তোমাদের সুখৃ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।”
সূত্র: এবিপি
Leave a Reply