free tracking

My Blog

My WordPress Blog

যে ৩টি জিনিস কিডনিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়!

কিডনি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা বর্জ্য, অতিরিক্ত পানি এবং টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দেয়। কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেক বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি। কিছু অভ্যাস বা খাদ্য আছে, যা ধীরে ধীরে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এখানে কিডনিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করার ৩টি প্রধান কারণ বা জিনিসের বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
অতিরিক্ত লবণ কিডনির উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে এবং কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। লবণ আমাদের শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম যোগ করে, যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং কিডনির মধ্যে অতিরিক্ত তরল জমতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের একটি প্রধান কারণ। দীর্ঘ সময় ধরে বেশি লবণ খাওয়ার ফলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে। লবণের পরিমাণ সীমিত রাখা এবং খাবারে কম লবণ ব্যবহার করা উচিত।

২. অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ
প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির উপর চাপ ফেলতে পারে। বিশেষত যদি আপনি কিডনি রোগের ঝুঁকিতে থাকেন বা ইতিমধ্যেই কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত হন, তবে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ কিডনির ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনিতে অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় এবং কিডনি ফিল্টারিং সিস্টেমে ক্ষতি সাধন করে। এটি কিডনির কাজের সক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং কিডনির প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। প্রোটিনের পরিমাণ পরিমিত রাখা এবং বিশেষ করে কিডনি রোগীদের জন্য সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

৩. প্রতিরোধহীন উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ কিডনির প্রধান শত্রু। দীর্ঘসময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এটি কিডনি ফিল্টারিং সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনি নালী (nephron) এবং রক্তনালীগুলিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে, যার ফলে কিডনি কাজ করতে পারে না। অতিরিক্ত চাপের কারণে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, যার ফলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা।

ধূমপান কিডনির রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। অ্যালকোহল অতিরিক্ত খেলে এটি লিভার এবং কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে এসব বিষয় মনোযোগ দিয়ে সামলানো উচিত। কিডনি সম্পর্কিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *