ইফতার করার পর শরীরের উপর অনেক চাপ পড়ে, কারণ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর খাবার গ্রহণ করা হয়। এই সময়ে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলি আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। যেসব কাজ ভুলেও করা উচিত নয়, তা নিচে দেওয়া হলো:
১. অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ
ইফতারের পর অতিরিক্ত খাবার খাওয়া খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর শরীর ক্ষুধার অনুভূতি তৈরি করে, আর তখন অস্বাভাবিকভাবে বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। তবে অতিরিক্ত খাবার খেলে:
- পাচনতন্ত্রে চাপ পড়বে, ফলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- পরবর্তীতে শরীর দুর্বল হতে পারে।
সতর্কতা: ইফতার করার সময় ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণ করুন এবং সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২. শরীরিক পরিশ্রম (কঠিন ব্যায়াম)
ইফতার করার পর কঠিন শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খাবারের পর পেট ভর্তি থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সময়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে:
- শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হতে পারে, যা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- পাচনক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে এবং দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
সতর্কতা: ইফতার পর ভারী কাজ বা পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। হালকা হাঁটাহাঁটি বা বিশ্রাম নেওয়া ভালো।
৩. অতিরিক্ত তরল পান করা
ইফতার করার পর অতিরিক্ত পানি বা অন্য কোনো তরল পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘ সময় পানাহারের অভাবে শরীর অতিরিক্ত পানি চায়, কিন্তু অতিরিক্ত তরল পান করলে:
- হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
- শরীরের সল্ট বা ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- কিডনির উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে।
সতর্কতা: ইফতারের পর তরল পান করার পরিমাণে সতর্ক থাকুন। পানি এবং অন্যান্য তরল খাবার সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করুন, এবং একবারে অনেক বেশি না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ইফতার শেষে হালকা খাবার গ্রহণ, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্রাম নেওয়া এবং নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি পান করা শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর অতিরিক্ত খাবার বা কঠিন কাজ থেকে বিরত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply