free tracking

My Blog

My WordPress Blog

শেখ হাসিনার নোবেল স্বপ্নে দেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নোবেল পুরস্কার অর্জনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন, তা দেশের জন্য গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে, এমনটাই মত প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তির পেছনে তার এই আকাঙ্ক্ষার ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।

২০১৭ সালে, যখন শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে মানবিকতার আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করা এবং সম্ভাব্য নোবেল পুরস্কারের জন্য নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করা। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নিজেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তুত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ফলস্বরূপ, বাংলাদেশে এক নতুন বিপদ সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে ব্যাপক জনসংখ্যার চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর পড়ছে, যারা নিজেদের জমিতে আশ্রিত হতে বাধ্য হচ্ছেন। এর পাশাপাশি, ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির এই সংকটের সমাধানে কার্যকর উদ্যোগের অভাবের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে গোপনে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদও রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং এই সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পেছনে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত লাভ। বিশেষত, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার প্রচারণা চালান এবং লবিস্ট নিয়োগ করেন। তবে তার এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি এবং রোহিঙ্গাদের সংকট আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকরা আরও সতর্ক করেছেন যে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত একাধিক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার হতে পারে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *