free tracking

My Blog

My WordPress Blog

তিস্তা ব্যবহার করে ভারতকে ডুবাবে বাংলাদেশ!

দিল্লির রাত গভীর হয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নরম আলো ছড়ানো। টেবিলে ছড়িয়ে রয়েছে শিলিগুড়ি করিডরের মানচিত্র। ভারতের চিকেন স্নেকের সরু গলার কাছে তিস্তা নদীকে আঁকিয়ে রাখা হয়েছে। মোদির চোখে আতঙ্কের ছায়া, কপালে গভীর চিন্তার রেখা। সামনে রাখা গোয়েন্দা রিপোর্টের লাল ফাইলটি ওপেন করা, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-চীন তিস্তা নিয়ে পরিকল্পনা। বাইরের বাতাসে এক ধরনের থমথমে শব্দ ভেসে আসে, যেন তিস্তার ঢেউ ভারতকে হুমকি দিতে চলেছে। মোদির চোখ জানালার দিকে ঘুরে, কানে ভেসে আসে চীনের গর্জন, ভারতের নিরাপত্তাকে শংকায় ফেলে দিয়ে।

তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্রাণ। ৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী সিকিম থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত। কিন্তু ভারত বছরের পর বছর এই নদীকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। গজলডুবা বাঁধে শুকনো মৌসুমে পানি আটকে উত্তরবঙ্গকে খরা দেয়, আবার বর্ষায় অতিরিক্ত পানি ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করে। ২০২৩ সালে তিস্তার বন্যায় রংপুর ও কুড়িগ্রামে ১৮,০০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায়। ২০২৪ সালে ভূগর্ভস্থ পানি সংকটের কারণে ১২ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে। কৃষক রশিদ মিয়া বলেছিলেন, “ভারত আমাদের ফসল শুকিয়ে মারে, বর্ষায় সব ভাসিয়ে দেয়।”

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এই পানি নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য এক ধরনের জিম্মি অবস্থা তৈরি করেছে। ১৯৮৩ সালে পানি বণ্টন নিয়ে খসড়া চুক্তি হলেও তা কার্যকর হয়নি, আবার ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় আরেকটি সমঝোতা বাতিল হয়ে যায়। ভারতের প্রতিশ্রুতিগুলো ছিল নিছক কথার ফানুস।

এবার বাংলাদেশ তিস্তার নিজস্ব সীমানায় পাল্টা প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনায় বাঁধ, জলাধার এবং সেচ ব্যবস্থার প্রস্তাব রয়েছে। বাস্তবায়িত হলে, বাংলাদেশ পানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভারতীয় নির্ভরতা ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম হবে। তিস্তা নদীর ৫০০ কিলোমিটার তীর পুনর্গঠনও সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল মতিন বলেন, “এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ তার পানির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে।” আর চীনের সহায়তায় এই প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে চীন ১০০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। সম্প্রতি, প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের বেইজিং সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আশ্বাস দিয়েছেন যে, তিস্তা প্রকল্পে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

এটি শুধু একটি প্রকল্প নয়, এটি বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার জয়। শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চীনা উপস্থিতি ভারতের জন্য কৌশলগত বিপদের কারণ হতে পারে। শিলিগুড়ি করিডর ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যের একমাত্র যোগাযোগ পথ। তিস্তা নদীতে চীনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, এখানে চীনা প্রকৌশলী, শ্রমিক এবং গোয়েন্দাদের উপস্থিতি ভারতের জন্য বিশাল ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিখেছে, “চীনের উপস্থিতি ভারতের চিকেন স্নেককে বিপন্ন করবে।”

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে, চীনের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দুর্ধর্ষ। চীনা গোয়েন্দারা তিস্তা নদীতে অবস্থান করলে, শিলিগুড়ির সামরিক তথ্য চীনের হাতে চলে যেতে পারে। ভারতীয় গোয়েন্দারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, চীনা গোয়েন্দারা ড্রোন, স্যাটেলাইট এবং স্থানীয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভারতের গোপন সামরিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

ভারতের জন্য এই উপস্থিতি শুধুমাত্র সামরিক ঝুঁকি নয়, এটি অর্থনৈতিক চাপও সৃষ্টি করবে। তিস্তার পানি আটকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কমে যাবে। তাছাড়া, চীনের প্রভাব বাংলাদেশে বাড়লে ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে লিখেছে, “চীন তিস্তায় এলে ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব হারাবে।”

ভারত এখন শিলিগুড়িতে ২০,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে, কিন্তু চীনের গোয়েন্দা শক্তির সামনে এটি কিছুই নয়। ২০২০ সালে লাদাখে চীনা গোয়েন্দারা ভারতীয় সেনার গতি আগেই জানত। তিস্তা নদীতে চীনা উপস্থিতি হলে, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের নিরাপত্তা পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

বাংলাদেশের কৃষকরা বলছেন, “ভারত আমাদের বাঁচতে দেয়নি, কিন্তু তিস্তার প্রকল্পে আমাদের কষ্ট মুছবে।” চীনের সহায়তায় পানি নিয়ন্ত্রণে আসলে, কৃষকরা তাদের জমিতে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারবে, এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার আত্মমর্যাদা ফিরে পাবে।

ঢাকায়, প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস দাঁড়িয়ে হাসছিলেন। মোদি তার কাছে এসে দেখলেন, বাংলাদেশ শোষণের সমস্ত দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তিস্তার ঢেউয়ে হাসির ঝিলিক, বাংলাদেশের মাটিতে নতুন বিজয়ের আলো। মোদি জানালার দিকে তাকালেন, কিন্তু বাইরে শুধু অন্ধকার—যেন তিস্তা বলছে, “এবার আমার পালা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *