free tracking

My Blog

My WordPress Blog

পিএসএলে প্রতি ছক্কায়, প্রতি উইকেটে ফিলিস্তিন শিশুদের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ রুপি!

পিএসএলে মুলতানের প্রতিটি ছক্কা ও উইকেটের জন্য ফিলিস্তিনি শিশুদের তহবিলে যোগ হবে এক লাখ পাকিস্তানি রুপি।

গতকাল মুলতানের প্রথম ম্যাচেই তহবিলে যোগ হয়েছে ১৫ লাখ রুপি। টুর্নামেন্টে আরও অন্তত ৯টি ম্যাচ খেলবে মুলতান।

ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে মুলতান সুলতানসের মালিক আলী খান তারিন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এবারের পিএসএলের মাধ্যমে আমরা ফিলিস্তিনকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমাদের ব্যাটসম্যানদের প্রতিটি ছক্কায় ফিলিস্তিনের তহবিলে এক লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। বোলাররাও এ উদ্যোগে শামিল হতে চেয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বোলারদের প্রতিটি উইকেটেও এক লাখ রুপি দেওয়া হবে। এ অর্থটা যাবে বিশেষ করে শিশুদের জন্য।’

করাচির বিপক্ষে ম্যাচের টস করতে নেমে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানও অনুদান দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি অবশ্য চারের কথাও বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিটি ছক্কা, প্রতিটি চার এবং প্রতিটি উইকেটের ফিলিস্তিন এ গাজার শিশুদের জন্য কিছু করতে চাই।’

টানা দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় আবারও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর পর থেকে তারা গাজায় আরও বড় এলাকা দখল করেছে। গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০০ শিশু নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ গাজা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আসছেন।

মুলতান সুলতানস প্রতিটি ছক্কা ও উইকেটে এক লাখ রুপি অনুদান ঘোষণার পর যে ম্যাচটি খেলেছে, তাতে ব্যাটসম্যানরা ভালো অবদানই রেখেছেন। করাচির বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে মুলতান। দুই শ ছাড়ানো এই ইনিংসে ছক্কা হয়েছে মোট ৮টি, চার ২৩টি।

সবচেয়ে বেশি ৫টি ছক্কা ও ৯টি চার মেরেছেন অধিনায়ক রিজওয়ান। অবশ্য অধিনায়কের ৬৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংসের পরও ম্যাচ জিততে পারেনি মুলতান। করাচি কিংস ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে।

ম্যাচের পর মুলতান সুলতানসের এক্স পেজ থেকে জানানো হয়েছে, গাজার ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য ১৫ লাখ পাকিস্তানি রুপির অনুদান সংগৃহীত হয়েছে। মুলতানের পরের ম্যাচ ১৬ এপ্রিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *