বর্তমান সময়ে জীবনের ব্যস্ততায় কিংবা অবহেলায় আমরা নিজেরাই এমন কিছু কাজ করছি যা আমাদের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করছে। চিকিৎসক, ট্রাফিক বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু সাধারণ অসাবধানতা বা অভ্যাস—যেগুলোকে আমরা গুরুত্ব দিই না—তা মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
নিচে তুলে ধরা হলো এমন কিছু মারাত্মক অসাবধানতা ও তার ফলাফল।
অতিরিক্ত ধূমপান ও নেশাদ্রব্য ব্যবহার
ধূমপান, মদ্যপান বা অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহণ হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার ও লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগ ডেকে আনে। দীর্ঘমেয়াদে এই অভ্যাসগুলো মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে কয়েকগুণ।
হেলমেট বা সিটবেল্ট না পরা
অনেকেই বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরেন না বা গাড়িতে বসে সিটবেল্ট বাঁধতে ভুলে যান। ট্রাফিক বিভাগের মতে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রধান কারণ হেলমেট না পরা। এমনকি, ছোট দূরত্বেও এই অভ্যাস বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
মোবাইল চালিয়ে গাড়ি চালানো
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা বা মেসেজ টাইপ করায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। এক সেকেন্ডের অসতর্কতা নিয়ে যেতে পারে জীবনের সব অর্জন।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের অভাব
ফাস্টফুড, অতিরিক্ত চিনি ও লবণযুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া, এবং শরীরচর্চার অভাব—উভয়ই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিদিনের একটু অনিয়ম ভবিষ্যতে ডেকে আনতে পারে অকালমৃত্যু।
পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানসিক অবসাদ, দৃষ্টি সমস্যাসহ স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। ঘুমের ঘাটতি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যও ধ্বংস করে।
প্রযুক্তির প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি
ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভি স্ক্রিনে চোখ রাখার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে, কমছে জীবনশক্তি ও সামাজিক বন্ধন।
করণীয়
প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুম।
মোবাইল ব্যবহার সীমিত করা।
বাইক চালালে হেলমেট ও গাড়িতে সিটবেল্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও ব্যায়াম করা।
ট্রাফিক ও নিরাপত্তা বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা।
জীবন একটাই। কিছু অভ্যাস বদলালেই হয়তো আপনি অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। একটু সচেতনতা পারে বাঁচাতে অমূল্য এই জীবন।
Leave a Reply