free tracking

My Blog

My WordPress Blog

বিয়ের পর মেয়েদের মোটা হওয়ার ৮ কারণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের পর অনেক মেয়ে অভিযোগ করেন আগের চেয়ে মোটা হয়ে গেছেন। গবেষণাতেও এমনটা দেখা গেছে। আমেরিকায় পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে, ৮২ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে অনেকটাই ওজন বৃদ্ধি ঘটেছে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক বিয়ের পর মোটা হওয়ার কারণ-

১. শারীরিক সম্পর্ক: অনেকে এটাকেই বিয়ের পর মোটা হওয়ার মূল কারণ মনে করেন। দেখা গেছে, বিয়ের পর নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের কারণে মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন বাড়ে। এই হরমোনের কারণে খাদ্য থেকে চর্বি শোষণ হওয়ার পর দেহে জমতে থাকে। সেজন্য একজন বিবাহিত মেয়ে সহজেই মোটা হয়ে যায়।

২. ফিট থাকার অনিচ্ছা: বিয়ের আগে সব মেয়ের মধ্যেই নিজেকে ফিট রাখার এক ধরনের প্রচেষ্টা থাকে। সেই সময় তারা নিজের ওজন ধরে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা করেন। কিন্তু বিয়ের পরে সেই আগ্রহে ভাটা পড়ে। অনেকের মধ্যেই এক ধরনের গা-ছাড়া ভাব চলে আসে। জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার পর তারা নিজের চেহারা ও ফিটনেস নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দেন। যে কারণে ওজন বেড়ে যায়।

৩. চিন্তামুক্ত থাকা: বিয়ের পর মেয়েদের নিরাপত্তা অনেকটা বেড়ে যায়। মানসিকভাবে তারা চিন্তামুক্ত হন। চিন্তাভাবনা কমার কারণে শরীর রিল্যাক্সড হয়। এর থেকেও ওজন বাড়তে পারে।

৪. গর্ভধারণ এবং তার প্রস্তুতি: বিয়ের পর গর্ভধারণের প্রস্তুতির সময় শরীরে চর্বি জমা হতে পারে। এ ছাড়া গর্ভধারণের সময় ওজন বাড়া স্বাভাবিক। অনেক ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের পর বেড়ে যাওয়া ওজন আর কমে না। ফলে মোটা শরীর রয়ে যায়।

৫. ঘুম কম হওয়া: বিয়ের আগে বাবার বাড়িতে যে অভ্যাসে অভ্যস্ত ছিল, সেই অভ্যাস ও রীতি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বজায় থাকে না। সংসারের কাজের জন্য রাতে ঘুম কম হওয়ায় শরীরে অপ্রয়োজনীয় মেদ জমতে থাকে। রাতের পর রাত না ঘুমানো, ঘুমাতে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট না হওয়ায় স্থূলতার দিকে এগোতে থাকেন অনেক বিবাহিত নারী।

৬. ব্যায়াম না করা: যেসব মেয়ে বিয়ের আগে নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতেন, বিয়ের পরে তাদের সেই অভ্যাসে ভাটা পড়ে। কারণ নতুন বাড়িতে গিয়ে রুটিন এলমেল হয়ে যায়। তাতে শরীরচর্চা করার সময় থাকে না। ফলে ওজন বাড়ে।

৭. মানসিক চাপ: বিয়ের পর অনেক মেয়েরই মানসিক চাপ বাড়তে পারে। বিশেষ করে যারা পেশাদার, তাদের ক্ষেত্রে অফিসের চাপের পাশাপাশি নতুন সংসারের চাপ তৈরি হয়। এই দ্বৈত মানসিক চাপও ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

৮. শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া: বিয়ের আগে একজন মেয়ে নানা কারণে বাইরে যায়। যার মধ্যে আছে ক্লাস জয়েন করা, মার্কেটিংয়ে যাওয়া, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বেড়ানো। বিয়ের পর এসব কাজে ভাটা পড়ে। অনেক মেয়েই ঘরবন্দি হয়ে যান। ফলে আগে যে ক্যালরি খরচ হতো সেটা বন্ধ হয়ে যায়।

যেভাবে এই ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে-

সুস্থ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা: সুষম খাবার খান এবং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করা: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা: পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

মেডিটেশন: মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করতে পারেন।

সঙ্গীর সমর্থন নেওয়া: সঙ্গীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অভ্যাস গড়ে তুলুন।

প্রচুর পানি পান করা: শরীরের মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্য প্রচুর পানি পান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *