free tracking

My Blog

My WordPress Blog

প্রসাবের যে অস্বাভাবিকতা কিডনি সমস্যার প্রথম সতর্ক সংকেত!

কিডনির ড্যামেজ হয়েছে কিনা তা প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষণ দেখে আন্দাজ করা যায়। নিচে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো, যেগুলো কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে:

১. মূত্রের পরিবর্তন
কিডনি সমস্যার অন্যতম প্রথম লক্ষণ মূত্রে পরিবর্তন:মূত্রের রঙ গা dark হয়ে যাওয়া বা ফেনা/frothy হওয়া। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা খুব বেশি বেড়ে যাওয়া। প্রস্রাব করতে ব্যথা বা জ্বালা অনুভব হওয়া। প্রস্রাবে রক্ত দেখা। এই পরিবর্তনগুলি কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে হয়।

২. শরীরে ফোলাভাব (Swelling / Edema)
কিডনি ঠিকভাবে ফিল্টার না করতে পারলে শরীরে অতিরিক্ত পানি ও লবণ জমে যায়: মুখ, চোখের নিচে ফোলা (especially সকালে)। পা, গোড়ালি ও পায়ের পাতায় ফোলাভাব। হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া (পানির ভারে)। কিডনি ঠিকমতো অতিরিক্ত ফ্লুইড বের করতে না পারলে এই উপসর্গগুলো দেখা দেয়।

৩. চরম ক্লান্তি ও দুর্বলতা (Extreme Fatigue & Weakness)
কিডনি যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন শরীরের বর্জ্য পদার্থ জমে যায় রক্তে। ফলে: সারাদিন ক্লান্তিভাব, মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হওয়া, শ্বাসকষ্ট (রক্তে অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণে), অ্যানিমিয়া (রক্তে লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়া)। কিডনি ইরিথ্রোপয়েটিন (EPO) নামক হরমোন তৈরি করে, যা রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে EPO কমে যায় → রক্তশূন্যতা হয় → ক্লান্তি বাড়ে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:

উপরের লক্ষণগুলো যদি একাধিক দিন ধরে থাকে

প্রস্রাবে রক্ত/ঝাঁঝালো গন্ধ দেখা দেয়

হঠাৎ করে হাত-পা বা মুখ ফুলে যায়

প্রেসার নিয়মিত বেশি থাকে (উচ্চ রক্তচাপ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *