১. আর্থিক তথ্য (ব্যাংক একাউন্ট, পিন, ঋণ, সঞ্চয়)
আপনার টাকা-পয়সার অবস্থা যদি খুব ঘনিষ্ঠ কেউও জেনে যায়, অনেক সময় তা ঈর্ষা, অনাকাঙ্ক্ষিত সাহায্যের চাহিদা, বা এমনকি প্রতারণার কারণ হতে পারে। নিরাপত্তার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
২. আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বা স্বপ্ন
সবাই আপনার মঙ্গল চায় না। অনেকে আপনাকে নিরুৎসাহিত করতে পারে বা পিছন থেকে টেনে ধরতে পারে। পরিকল্পনা সফল হলে তবেই তা প্রকাশ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. পারিবারিক সমস্যাগুলো
আপনি হয়তো মন হালকা করতে কাউকে বলছেন, কিন্তু পরবর্তীতে সেটি রটিয়ে দেওয়া বা আপনার পরিবার সম্পর্কে ভুল ধারণা ছড়ানো হতে পারে। পরিবারিক সম্মান রক্ষায় কিছু কথা নিজের মধ্যেই রাখুন।
৪. কারো প্রতি নেতিবাচক মতামত
আপনি হয়তো এক বন্ধুর কাছে আরেকজনের সমালোচনা করছেন, কিন্তু সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে এক মুহূর্তেই। কথাটি ঘুরে আবার ঐ ব্যক্তির কানে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেতে পারে।
৫. আপনার গোপন দুর্বলতা বা মানসিক সমস্যা
সবার সহানুভূতি আসল নয়। কেউ কেউ পরে সেটিকে আপনাকে ছোট করতে বা ব্ল্যাকমেইল করতেও ব্যবহার করতে পারে। চিকিৎসক বা পেশাদার কাউন্সেলরের সঙ্গে ভাগ করা সবচেয়ে নিরাপদ।
ভরসা আর ভাগাভাগি আলাদা জিনিস। ভরসা করে সব কিছু বলে ফেললে সেটা অনুতাপেও পরিণত হতে পারে। তাই ভালো হোক, খারাপ হোক, কিছু বিষয় কেবল নিজের ভিতরেই রাখলে আপনি থাকবেন সুরক্ষিত ও আত্মবিশ্বাসী।
Leave a Reply