free tracking

My Blog

My WordPress Blog

বিএনপির সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ খুললেন জামায়াত নেতা!

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াগত পর্যায়ে গেলে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দৈনিক যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই সাক্ষাৎকারে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, নির্বাচন, দলীয় প্রস্তুতি, বিএনপি ও অন্যান্য ইসলামি দলের সঙ্গে সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।

অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, “আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মাঠপর্যায়ে গণসংযোগ, জনগণের কষ্টে পাশে থাকা এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাধ্যমে জনগণের হৃদয় জয় করার চেষ্টা চলছে।”তিনি জানান, জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলা এখনও আদালতে চলমান তবে তারা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন এবং ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফিরে পাওয়ার আশা রাখছেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সরকারের কাজ। জনগণের যে প্রত্যাশা তা সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল কাউকে নিষিদ্ধ করে না।”

বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি। সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ, তবে এখনো জোট হয়নি। জোট হলে তা সময় ও প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হবে।”

সম্প্রতি জামায়াতের আমিরের লন্ডন সফর নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বৈঠক হয়নি। উনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, আমরা সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। কেবল খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।”

ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে অধ্যাপক পরওয়ার জানান, “অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমরা আশাবাদী, নির্বাচনী ইস্যুতে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা হবে।”

আগামী নির্বাচনে জামায়াতের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। মানুষ যেন ভয়হীনভাবে ভোট দিতে পারে। পেশিশক্তি ও কালোটাকার প্রভাব থেকে মুক্ত ভোট নিশ্চিত করাই এখন বড় বিষয়। আর যদি জনগণ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তাহলে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র গঠন করাটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *