কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ভারতীয় গণমাধ্যমে ভাইরাল হয় এক দম্পতির ছবি। দাবি করা হয়, সন্ত্রাসীরা নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং ওই ছবিতে থাকা দম্পতি হচ্ছেন নিহত ওই কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী।
তবে এবার স্পষ্ট হয়েছে—ছবিতে থাকা ওই দম্পতি বেঁচে আছেন। তারা নিজেরাই একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভিডিওতে ওই নারী বলেন, “আমরা এখনো বেঁচে আছি। অথচ আমাদের ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে আমরা মারা গেছি। আমাদের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত করা হচ্ছে, অথচ আমরা জানিই না কেন এই দাবি করা হচ্ছে।”
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবিটি এক মাস আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছিল।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই এমন ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ভারতীয় মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পহেলগাঁও হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় সেনা সদস্য জানান, হামলার সময় সেনাবাহিনীর কোনো তৎপরতা ছিল না, এমনকি কোনো মেডিকেল সাপোর্টও দ্রুত পৌঁছায়নি। তিনি অভিযোগ করেন, “পুরো ঘটনাটা আমার কাছে সাজানো এবং পূর্বপরিকল্পিত মনে হয়েছে।”
কাশ্মীরের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় যেখানে ছয় লাখ সেনা মোতায়েন এবং প্রত্যেক ৫০ মিটার অন্তর আধুনিক অস্ত্রসহ সেনা সদস্যরা মোতায়েন থাকেন—সেখানে কীভাবে এতো বড় হামলা সম্ভব হলো, তা নিয়েও ব্যাপক প্রশ্ন উঠছে।
ভারতীয় সাংবাদিক দীপক বেপারী ফেসবুকে লিখেছেন, “হামলার সময় সেখানে সেনাবাহিনী থাকবে না—এটা হামলাকারীরা জানলো কীভাবে? এক ঘণ্টা ধরে হত্যাযজ্ঞ চললো, অথচ পুলিশ বা সেনাবাহিনী কেউ সময়মতো পৌঁছাতে পারল না কেন?”
তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “গত ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাশ্মীর সফর হঠাৎ বাতিল হলো কেন? তাহলে কি সরকার জানত সেখানে কিছু ঘটতে যাচ্ছে? তবুও কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?”
এই ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং মিডিয়ার দায়িত্বহীন আচরণ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=650194257999413&rdid=eyGq26sXgk14y80t
Leave a Reply