free tracking

My Blog

My WordPress Blog

সিন্ধুর পানি বন্ধ করলে যে বিপদে পড়বে ভারত!

কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সিন্ধু নদকে ঘিরে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করেছে ভারত, যা পাকিস্তান যুদ্ধের উস্কানি হিসেবে দেখছে। পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করার যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল বলে বিবেচিত হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। বিদ্যুৎমন্ত্রী আওয়াইজ লেখারী এটিকে সরাসরি “পানি যুদ্ধ” আখ্যা দিয়েছেন।

সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব — এই তিনটি নদী বর্ষায় এত বিপুল পরিমাণ পানিপ্রবাহ সৃষ্টি করে, যার উপর ভারতের অবকাঠামোগত নিয়ন্ত্রণ সীমিত। বাগলিহার বা কিশানগঙ্গা বাঁধসহ ভারতের বিদ্যমান প্রকল্পগুলো মূলত প্রবাহনির্ভর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প — পানি ধরে রাখার সক্ষমতা নেই বললেই চলে।

এমনকি ভারত যদি সব বাঁধ সমন্বয় করে প্রবাহ বদলানোর চেষ্টা করে, তবুও পাকিস্তানের পানিপ্রবাহে খুব সামান্য প্রভাব পড়বে। বরং ভারতের নিজের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেই বন্যা ঝুঁকি বাড়বে।

কাশ্মীরের ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ছাড়াও, আর্থিক ও রাজনৈতিক খরচ হবে বিশাল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে সম্মান হারানো ছাড়াও, চীন ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কও খারাপ হতে পারে। বিশেষত, চীন যদি ব্রহ্মপুত্র নদে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, তবে ভারত কৌশলগত বিপদে পড়ে যাবে।

ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন, এবং তা ভারতের জন্যই বেশি বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও বিচ্ছিন্ন ও উত্তপ্ত করে তুলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *