ঈদুল আজহার গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে কোরবানি। এই কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা নির্দিষ্ট কিছু মুসলমানের ওপর ওয়াজিব হিসেবে নির্ধারিত। অর্থাৎ, তাদের জন্য এটি পালন করা ফরজের কাছাকাছি একটি কর্তব্য।
জানতে চান, কারা এই বিধানের আওতায় পড়েন? ইসলামি বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে, যা পূরণ না হলে কারো ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয় না।
কারা কোরবানির জন্য দায়িত্বশীল?ইসলামী বিধান অনুযায়ী, কোরবানি ওয়াজিব হয় সেইসব মুসলমানের ওপর—
যিনি মুসলিম,
বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক,
সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন,
নিজ এলাকায় অবস্থানরত (মুকিম),
এবং যিনি প্রয়োজনাতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নেসাব পরিমাণ সম্পদ বলতে বোঝায়—
সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ (প্রায় ৮৭.৪৮ গ্রাম), বা
সাড়ে ৫২ ভরি রূপা (প্রায় ৬১২.৩৬ গ্রাম), বা
এত পরিমাণ টাকাপয়সা বা সম্পদ যার বাজারমূল্য ওই রুপার সমপরিমাণ হয়।
মনে রাখবেন, জাকাতের মতো এখানে এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার শর্ত নেই। বরং জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে কেউ যদি ওই পরিমাণ সম্পদের মালিক হন, তাহলেই তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়অপ্রাপ্তবয়স্ক (ছোট ছেলে-মেয়ে)
পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি
ভ্রমণে থাকা মুসাফির
যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেইহাদিসে কঠোর সতর্কবাণীহজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন—
“যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে, কিন্তু কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।”(সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদিস ৩১২৩)
Leave a Reply