free tracking

My Blog

My WordPress Blog

বাথরুমে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা যাবে কি?

গোসল আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে পুরো শরীর ধোয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়– পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে পবিত্র পানি দিয়ে পুরো শরীর ধোয়াকে গোসল বলা হয়।

অনেকে জানতে চান, বাথরুমে বিবস্ত্র হয়ে কি গোসল করা যাবে?

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাথরুমে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা উচিত নয়। এ বিষয়ে হাদিসে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। যে কারণে সবাইকে এ অভ্যাস পরিহার করা উচিত।

হজরত মুয়াবিয়া বিন হাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে তোমার লজ্জাস্থান সর্বদা হেফাজত করো (অর্থাৎ ঢেকে রাখো)। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসুল! যদি কোনো ব্যক্তি কোথাও একাকী থাকে! (তখনো কী তা ঢেকে রাখতে হবে?)। তিনি বলেন, অবশ্যই, কেননা আল্লাহকে অধিক লজ্জা করা উচিত। (তিরমিজি, হাদিস: ২৭৬৯)

আরেক হাদিসে আছে, হজরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

মহান আল্লাহ পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন ইযার (লুঙ্গি) পরিহিত অবস্থা ছাড়া গোসলখানায় প্রবেশ না করে। মহান আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন তার স্ত্রীকে গোসলখানায় প্রবেশ না করায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৮০১)

বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা অনুত্তম কাজ, সুন্নতের পরিপন্থি। আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো এরূপ করেননি। মোস্তাহাব ও উত্তম হলো পুরুষরা লুঙ্গি বেঁধে গোসল করা ও নারীরা নিচে পায়জামা বা ওড়না সাদৃশ্য ও বুকে গামছা সাদৃশ্য কিছু রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *