বয়স ৩০ পার হলে পুরুষদের জীবনযাপনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসে পরিবর্তন আনা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানান জটিলতা বাড়তে শুরু করে, যা অনেক সময় নিজের অজান্তেই ঘটে। অফিসের চাপ, সংসারের দায়িত্ব আর ব্যক্তিগত অবহেলার কারণে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
অথচ পরিবারে সবাই যার ওপর নির্ভরশীল, সেই পুরুষদেরই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সবচেয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এই বয়সে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ইউরিক অ্যাসিড, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়। তাই বছরে অন্তত একবার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো জরুরি।
এই বয়সে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং অবসাদ শরীর ও মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এজন্য নিয়মিত বিশ্রাম, পারিবারিক সময় কাটানো এবং ধ্যান-যোগাসনের মাধ্যমে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করা উচিত। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত পরিত্যাগ করা জরুরি, কারণ এটি ক্যানসারসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মেডিসিন চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলেন, ৩০ বছর পার হলে পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যানসার, হৃদরোগ, কিডনি ও থাইরয়েড সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ক্যানসার স্ক্রিনিং, ক্রিয়েটিনিন, লিপিড প্রোফাইল, ইউরিক অ্যাসিড ও হরমোন পরীক্ষা করানো উচিত।
শারীরিক সুস্থতার জন্য দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা খুবই উপকারী। জিমে যেতে না পারলে ঘরেই হালকা ব্যায়াম করলেও উপকার হবে। শরীর ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না—এই সহজ সত্য মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদে একজন পুরুষ তার পরিবার ও নিজের জীবনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।
Leave a Reply