ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিঃসন্দেহেই সোনার দামকে প্রভাবিত করে রাখে। শক্তিশালী অবস্থানের লক্ষ্যে দেশগুলো সোনা কিনে নিজেদের বলবান করে তুলতে চায়। এর প্রভাবে সোনার বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।
তবে, বর্তমানে সোনার বাজারে যা কিছু ঘটে চলেছে, তার নেপথ্যে রয়েছে একটাই কারণ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি। বিশেষজ্ঞরা অন্তত সেরকমটাই দাবি করছেন!
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিঃসন্দেহেই সোনার দামকে প্রভাবিত করে রাখে। শক্তিশালী অবস্থানের লক্ষ্যে দেশগুলো সোনা কিনে নিজেদের বলবান করে তুলতে চায়। এর প্রভাবে সোনার বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। তবে, বর্তমানে সোনার বাজারে যা কিছু ঘটে চলেছে, তার নেপথ্যে রয়েছে একটাই কারণ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি। বিশেষজ্ঞরা অন্তত সেরকমটাই দাবি করছেন!
বৃহস্পতিবার অবশ্য সোনার দামে চাঙ্গাভাব দেখা গিয়েছে। একদিন আগে ৩% পতনের পর বিনিয়োগকারীদের বার্গেন হান্টিং (মন্দার সময়ে বেশি কেনাকাটা) এবং দুর্বল ডলারের কারণে সোনার দাম আবারও উজ্জ্বল হয়েছে।
এছাড়াও, বাজার ক্রমাগত মার্কিন-চিন বাণিজ্য উত্তেজনার উপর নজর রাখছে। কিন্তু শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে, স্পট সোনার দাম ১.৪% বেড়ে প্রতি আউন্স ৩,৩৩৩.৯০ ডলারে পৌঁছেছে। মার্কিন সোনার ফিউচার ১.৭% বেড়ে ৩,৩৪৮.৬০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এন্য দিকে, মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল, সোনার দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ ,৫০০.০৫ ছুঁয়েছে। এর ঠিক একদিন পরেই, অর্থাৎ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে দামের বিরাট পতন ঘটে।
ব্যবসায়ী তাই ওং সিএনবিসি ইন্টারন্যাশনালকে তাই বলেছেন যে এই মুহূর্তে পুরো বাজার শুধু একটাই জিনিসের উপরে চলছে – শুল্ক। চিন নিজেকে শিকার হিসেবে দেখাচ্ছে, যার কারণে ডলার দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং সোনার দাম আবার বেড়েছে।
তিনি বিশ্বাস করেন যে ৩,৫০০ ডলার পর্যন্ত ওঠানামা একটু বেশি ছিল এবং এখন সোনার দামে সাইডওয়ে ট্রেডিং (সামান্য ওঠানামা) দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যেহেতু এটি একটি তেজি বাজার, তাই যে কোনও বড় পতনই ক্রয়ের সুযোগে পরিণত হবে।
বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব সোনায় কীভাবে পড়বে, তা বিবেচ্য বিষয়! আসলে, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। চিন বলেছে যে কোনও আলোচনা হবে না, তাদের দাবি আমেরিকার উচিত একতরফা শুল্ক প্রত্যাহার করা।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ফেড চেয়ারম্যানকে অপসারণের হুমকি থেকে সরে এসে কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছেন, যা বাজারে স্বস্তি এনেছে।
বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব সোনায় কীভাবে পড়বে, তা বিবেচ্য বিষয়! আসলে, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। চিন বলেছে যে কোনও আলোচনা হবে না, তাদের দাবি আমেরিকার উচিত একতরফা শুল্ক প্রত্যাহার করা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ফেড চেয়ারম্যানকে অপসারণের হুমকি থেকে সরে এসে কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছেন, যা বাজারে স্বস্তি এনেছে।
অন্যান্য ধাতুর পারফরম্যান্স দেখে নেওয়া যাক! রুপোর দাম -০.১% কমে .৫১ হয়েছে। প্ল্যাটিনামের দাম -০.১% কমে .৬০ হয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম +০.৪% বেড়ে .৯৩ হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে দেখলে বাজার তাই বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে শুল্ক এবং মার্কিন-চিন সম্পর্কের উপর কেন্দ্রীভূত। এই কারণে সোনা আবারও বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। যদি আগামী দিনগুলিতে বাণিজ্য যুদ্ধের অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় সোনাই প্রথমে থাকবে। যদি ডলার এবং ইক্যুইটিতে দুর্বলতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সোনার দর আবার নতুন উচ্চতা দেখতে পারে।
Leave a Reply