free tracking

My Blog

My WordPress Blog

হার্ট অ্যাটাক হলে বুকের কোথায় ব্যথা হয় ?!

অনেকেই ধারণা করেন হার্টের ব্যথা শুধুমাত্র বুকের বাম পাশে হয়। যদিও সাধারণত ব্যথা বুকের বাম দিকে বেশি অনুভূত হয়, তবে বাস্তবে এটি বুকের মাঝখান থেকে শুরু হয়ে ডান পাশেও ছড়াতে পারে। এমনকি অনেক সময় এই ব্যথা কাঁধ, গলা, চোয়াল, পিঠ কিংবা বাম হাতে পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ব্যথাটি অনেক সময় ভারী চাপ বা পিষে ধরার মতো অনুভূত হয়, যেন বুকের ওপর ভারী কিছু চাপা পড়েছে। এটি কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং বিশ্রাম কিংবা নাইট্রোগ্লিসারিন গ্রহণ করলে কিছুটা কমে আসতে পারে।

হার্টের ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ইস্কেমিক হৃদরোগ (Ischemic Heart Disease) যেখানে হার্টে রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং ব্যথা অনুভূত হয়। আরও গুরুতর অবস্থা হলো মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction) বা হার্ট অ্যাটাক, যেখানে রক্ত প্রবাহ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। অ্যাঞ্জাইনা (Angina) এক ধরনের ব্যথা যা সাধারণত পরিশ্রম বা মানসিক চাপের সময় হয় এবং তা রক্তপ্রবাহের অপর্যাপ্ততার ফল। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন (Hypertension) হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়াও হার্ট মাসল ডিজিজ (যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি) এবং হার্ট ভালভ ডিজিজ (ভালভে সমস্যা) থেকেও এই ধরনের ব্যথা হতে পারে।

তবে বুকে ব্যথা মানেই হার্টের সমস্যা এমনটা নয়। অনেক সময় এই ব্যথা হতে পারে পেশির টান, হাড়ের সমস্যা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, পাকস্থলীর গ্যাসজনিত সমস্যা বা ফুসফুসের সমস্যার কারণে। এসব ব্যথা সাধারণত অবস্থান, প্রকৃতি এবং সময়সীমায় হার্টের ব্যথা থেকে আলাদা হয়।

হার্টের ব্যথার লক্ষণগুলো কীভাবে বুঝবেন?

হার্টের ব্যথার কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো—

* বুকের মাঝখানে চাপা বা পিষে ধরার অনুভূতি
* ব্যথা যা কাঁধ, বাহু, চোয়াল বা পিঠে ছড়িয়ে পড়ে
* অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
* শ্বাসকষ্ট বা হিমশীতল অনুভব
* বমি বমি ভাব বা বমি
* হঠাৎ অস্থিরতা ও দুর্বলতা

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

যদি হঠাৎ বুকের ব্যথা অনুভব করেন, বিশেষ করে তা যদি উপরোক্ত লক্ষণের সাথে মিলে যায়, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ হার্টের ব্যথা দ্রুত চিকিৎসা না করলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

সতর্কতা ও প্রতিরোধই সেরা ব্যবস্থা

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে- নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্য, ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান পরিহার এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা। হার্টের ব্যথা হলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *