শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক দশক পর সামনে এলো কিছু চমকপ্রদ ও অজানা তথ্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, “হেফাজতের বড় কোনো সমাবেশ দেখলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই রাত।”
তিনি জানান, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে তিনি এবং বিবিসির সাবেক সাংবাদিক মার্ক ডামেট যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। যদিও তখন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্ত ছিল, তারা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হন যে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে ৭ জন ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
আজাদ বলেন, “সেই সময় যারা মাঠে নেমে মানবাধিকার বা সাংবাদিকতার কাজ করতেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি ছিল চরম ঝুঁকিপূর্ণ। আমি দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে নথি খুঁজেছি, মরদেহ শনাক্ত করেছি, প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা শুনেছি এমনকি কবরস্থানে গিয়ে পর্যন্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষের মুখ থেকে সত্য বের করে আনা ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। অনেকেই ভয় পেয়ে মুখ খুলতে চাইতেন না। আবার নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি ছিল সর্বত্র।”
আজাদ মজুমদার জানান, নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন তিনি এই বিষয়টি জনসমক্ষে আনেননি। কিন্তু এখন, যখন বিভিন্ন সাংবাদিক ও গবেষকরা তার সেই কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তিনি গর্ব অনুভব করেন।
তার মতে, “এই তদন্ত ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সাহসী কাজগুলোর একটি। আর এটি আজও আমার কর্মজীবনের সবচেয়ে গর্বের অংশ।”
Leave a Reply