আবারও আলোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের একসময়ের তারকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। অন্যের স্ত্রী তামিমা সুলতানাকে বিয়ে করে বিতর্কে জড়ান তিনি। এই ‘বিতর্কিত প্রেম ও বিয়ে’র মামলায় শেষ হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০২১ সালে রাকিব হাসান মামলা করেন তামিমা ও নাসিরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল—ডিভোর্স না করেই তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন।
সাক্ষ্যগ্রহণে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রাকিব ও তামিমার মেয়ে তুবাও ছিল। সে মায়ের বিপক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল ছিল আত্মপক্ষ শুনানির দিন। তবে মামলাটি শুনতে আদালত ‘বিব্রত’ বোধ করায় আইনজীবীদের মতামতের ভিত্তিতে অন্য আদালতে বদলি করা হয়। এদিন আদালতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, একজন আইনজীবী একই মামলায় দুই পক্ষে কাজ করতে পারেন না—এটা পেশাগত অসদাচরণ। অন্যদিকে, বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, আদালতের রায় ছাড়া নাসির সম্পর্কে মন্তব্য করাটা আদালত অবমাননার শামিল।
২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নাসির-তামিমার বিয়ের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর রাকিব পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি দাবি করেন, বৈবাহিক সম্পর্ক চলাকালেই তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন—যা ধর্মীয় ও আইনের পরিপন্থী। এ ঘটনার মানসিক প্রভাব তার ও মেয়ের জীবনে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালত নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং বিচার শুরু হয়। নেটিজেনদের প্রশ্ন—আত্মপক্ষ সমর্থনে কী বলবেন নাসির-তামিমা? ভালোবাসার আড়ালে কি লুকিয়ে আছে অন্য কোনো গল্প?
Leave a Reply