বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো সাবধানতা অবলম্বন করলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। জীবনযাত্রায় কিছু সহজ পরিবর্তন এনে আপনি নিজেকে এই জটিল রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এটি কিডনির মাধ্যমে বর্জ্য বের করে দেয়, কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কারণ এই দুইটি রোগ কিডনির সবচেয়ে বড় শত্রু। নিয়মিত ওষুধ সেবন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
কম লবণ ও চিনি গ্রহণ করুন। খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ কিডনির উপর চাপ ফেলে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি বা সাইক্লিং করুন। এটি রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এছাড়া অপ্রয়োজনীয় ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক বেশি দিন ব্যবহার করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন। এই দুটি কিডনির রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয় এবং ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে।
বছরে অন্তত একবার কিডনি পরীক্ষা করানো খুবই জরুরি। বিশেষ করে যদি আপনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা পরিবারের মধ্যে কিডনি রোগের ইতিহাসে ভোগেন, তাহলে নিয়মিত ইউরিন ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি ফাংশন চেক করান।
অন্যদিকে ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, মুখ ও পা ফুলে যাওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা, প্রস্রাবের রং গাঢ় বা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া ও পেটে বা কোমরে ব্যথার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Leave a Reply