free tracking

My Blog

My WordPress Blog

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে ৫টি কার্যকরী অভ্যাস!

হার্ট অ্যাটাক বা হৃদ্‌রোগজনিত জটিলতা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবে সচেতন জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, নিচের ৫টি নিয়ম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়তা পাওয়া যাবে।

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে হৃদরোগের অনেক কারণ। তাই খাদ্য তালিকা থেকে উচ্চ চর্বি ও অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এসব খাবার কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা কিংবা হালকা ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ওজন কমে—যা হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝেও সময় বের করে দৈহিক কসরত করা জরুরি।

৩. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি। একইসঙ্গে অ্যালকোহলের মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ হৃদযন্ত্রের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। তাই এগুলো বর্জন করলেই হার্ট সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হয়।

৪. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এই দুটি বিষয় নজরে রাখা ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

৫. মানসিক চাপ কমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম
দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত (৭-৮ ঘণ্টা) ঘুম এবং ধ্যান বা মেডিটেশন করার মাধ্যমে চাপমুক্ত থাকা হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকদের মতে, যদি কারও পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকে বা যদি তিনি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাহলে আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সুস্থ হৃদয়ের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত জীবনচর্চা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *