free tracking

My Blog

My WordPress Blog

কে প্রথম যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল—ভারত না পাকিস্তান? যা জানা গেলো!

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানা উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি হামলা ও পারমাণবিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গত শনিবার ঘোষিত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে বিশ্বের অন্তত ৩৬টি দেশ। যদিও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা প্রথমে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এখনো অমীমাংসিত থেকে গেছে—এই প্রস্তাব প্রথম দিয়েছিল কে?

মার্কিন মধ্যস্থতা ও গোপন কূটনীতি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সরকারি সূত্র স্বীকার করেছে যে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ওয়াশিংটনের ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে বড়। সূত্রটির ভাষ্য, “দুই পক্ষই আশঙ্কা করছিল যে পাল্টাপাল্টি হামলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেই মুহূর্তে একটি যুদ্ধবিরতি প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল।”

চুক্তির প্রাক্কালে চমকে দেওয়া হামলা

সূত্রটি আরও জানায়, যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলার সময়, শনিবার ভোরে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে ইসলামাবাদ হতবাক হয়ে পড়ে, কারণ তারা মনে করেছিল যে, একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের বিমানঘাঁটি ও নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের হামলা চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এটি ছিল ‘চোখের বদলে চোখ’ নীতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া।

ভারতের মনোভাব পরিবর্তন ও যুদ্ধবিরতির পথ

পাকিস্তানের কঠোর জবাবের পর নয়াদিল্লিও পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে। সূত্রটি জানায়, “পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা দেখে ভারত গভীরভাবে বিবেচনায় পড়ে এবং শান্তি আলোচনায় ফিরে আসতে রাজি হয়।” এর পরপরই উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে ওঠে।

মার্কো রুবিও ও আন্তর্জাতিক চাপ

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আলোচনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন। সৌদি আরব ও তুরস্কসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরাও মধ্যস্থতায় অংশ নেন। দুপুরের দিকে হামলা বন্ধ হয় এবং পরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।

তবে ভারতীয় এক সূত্র দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতির মূল আলোচনা হয়েছিল সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে এবং তারা মার্কিন মধ্যস্থতার গুরুত্ব কিছুটা খাটো করে দেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *