free tracking

My Blog

My WordPress Blog

বাংলাদেশ ইস্যুতে ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ডোনাল ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন দুই নেতা। এ সময় এক সাংবাদিকে প্রশ্নে উঠে আসে বাংলাদেশের পট পরিবর্তন ইস্যু। যে প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তরও দেন ট্রাম্প।

তবে অভিযোগ উঠেছে, ট্রাম্পের ওই বক্তব্য দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। এ নিয়ে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা।

ট্রাম্প ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিভ্রান্ত হেডিং নিয়ে এবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। অনলাইন অ্যাক্টিভিটিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এই উপদেষ্টা।

পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবাহু তুলে ধরা হলো-

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্প যা বলেছে, সেটাকে কয়েকটা মিডিয়া ভুল ভেবে প্রচার করছে।
ডেইলি স্টার বাংলা ভার্সনে যেমন হেডিং দিয়েছে— “বাংলাদেশের বিষয়গুলো মোদির হাতে ছেড়ে দিচ্ছি : ট্রাম্প”
ডেইলি স্টারকে দেখাদেখি আরো কয়েকটা মিডিয়াও একই টাইপ মিসলিডিং শিরোনাম দিচ্ছে।

তাদের এসব শিরোনাম দেখে এবং নিউজ দেখে মনে হচ্ছে ট্রাম্প যেন মোদিকে দায়িত্ব দিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশ ইস্যু ডিল করার জন্য। আপনারা যারা এই নিউজটা করবেন, খুব মনোযোগ দিয়ে অনলাইন থেকে ওই ভিডিওটা দেখবেন।

ইংলিশের ওপর মোটামুটি লেভেলের দক্ষতা থাকলেই বুঝবেন সেখানে কোন প্রেক্ষাপটে এবং কীভাবে কনভারসেশন চলছিলো।
ট্রাম্পকে এক ইন্ডিয়ান সাংবাদিক যে প্রশ্নটা করেছিলো, তার সামারি হলো—বাইডেন প্রশাসনের সময় বাংলাদেশে রেজিম চেঞ্জ (হাসিনার পতন) ইস্যুতে আমেরিকার ডিপ স্টেটের ভূমিকা আছে। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন— না, আমেরিকার ডিপ স্টেটের কোনোই ভূমিকা নেই। এবং তারপর চোখেমুখে বিরক্তি নিয়ে মোদির দিকে ইঙ্গিত করে (যেহেতু ইন্ডিয়ান সাংবাদিক মনগড়া তত্ত্ব প্রচার করতে চাচ্ছিলো, তাই ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকে রেফার করে দিয়ে) ট্রাম্প বলেছেন বাংলাদেশ ইস্যুতে ওই প্রশ্নের উত্তরটা মোদির ওপর ছেড়ে দিলাম! মানে, বাংলাদেশ সংক্রান্ত ওই প্রশ্নটার উত্তর মোদিকে দিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। এই হলো ঘটনার সামারি।

আর এইবার চিন্তা করেন যারা এই হেডলাইন করছে যে– বাংলাদেশের বিষয়গুলো মোদির হাতে ছেড়ে দিচ্ছি, তারা ঠিক কী বুঝে এই শিরোনাম করছে? অন্যদের কথা বাদ। ডেইলি স্টার ইংলিশ টু বাংলা অনুবাদ পারে না—এটা আমি বিশ্বাস করি না। ইচ্ছাকৃতভাবে এভাবে জনগণকে ম্যানিপুলেট কেন করতে চান আপনারা?

আর অন্য যেসব মিডিয়া এই টাইপ কাজ করতেছেন, জাস্ট ধুপধাপ কপি-পেস্ট না করে একটু কনভারসেশনটা শুনে আসুন। শুনে তারপর খবর প্রকাশ করুন। এখন কিন্তু আর ওই যুগ নাই যে যেমন খুশি তেমন মিসইন্টারপ্রেট করে জনগণকে যা গেলাইতে চাইবেন, জনগণ সেটাই গিলবে! অনেক সুযোগসন্ধানী লোকজন আছেন, যারা এই খবরটা ম্যানিপুলেট করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করবে। দেশপ্রেমিক সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা সত্যটা প্রচার করুন এবং সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে সবার কাছে প্রকৃত সত্যটা উপস্থাপন করুন। এতে করে যারা মিসলিডিং শিরোনাম দেখে বিভ্রান্ত হওয়া থেকে সবাই সচেতন থাকতে পারবে।

আর কী হেডলাইন দিলেন আপনারা? একটা কনভারসেশন এর অনুবাদ কীভাবে করতে হয় এইটুকু বেসিক জ্ঞানটুকুও নাই? নাকি তোমরা মনে করো যে ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যানিপুলেট করে মানুষকে ভুল বার্তা দিবা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *