বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন সাকিব আল হাসান। গত ১৮ বছর ধরে তিনি ব্যাটিং, বোলিং ও নেতৃত্ব দিয়ে দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন। কিন্তু আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্ট খেলতে যাচ্ছে সাকিবকে ছাড়াই।ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জার্সি
প্রপার অলরাউন্ডারের অভাবসাকিব দলে থাকায় বাংলাদেশ সবসময় একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান বা বোলার নিয়ে খেলতে পারত। কিন্তু এবার সেই সুবিধা থাকছে না। পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ষষ্ঠ বোলিং অপশন না থাকাটা দলকে বিপাকে ফেলতে পারে।
কে নিতে পারে সাকিবের জায়গা?বাংলাদেশ দলে এখনো কোনো অলরাউন্ডার সাকিবের মতো দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে পারেননি। যদিও মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে ভালো পারফর্ম করেছেন, তবে বোলিংয়ে ধার হারিয়েছেন।
মিরাজের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়:
২০২৩-২৪ মৌসুমে তার বোলিং গড় ৪২.১৩, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়।ইকোনমি রেট ৫.৫ এর কাছাকাছি, যা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আরও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।অন্যদিকে, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন শুধুমাত্র বোলিংয়ের জন্য দলে থাকলেও, ব্যাট হাতে তাদের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু আশা করা যাচ্ছে না।
ষষ্ঠ বোলিং অপশনের অভাবআধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সব দলই অন্তত ছয়জন বোলিং অপশন নিয়ে নামে, যাতে কোনো এক বোলারের বাজে দিন গেলেও দলের উপর প্রভাব না পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশের সেরা ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেউই নিয়মিত বল করেন না। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ occasional বোলার হলেও, তাদের উপর পূর্ণ ভরসা রাখা কঠিন।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জচ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলতে হবে শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে, যেখানে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ বিপজ্জনক হতে পারে। সঠিক কম্বিনেশন না থাকলে সামান্য দুর্বলতাই ম্যাচ হারের কারণ হতে পারে।
তবে, দলের আশা মেহেদী হাসান মিরাজ বল হাতে ফর্মে ফিরবেন এবং সাকিবের অভাব যেন তেমন একটা বোঝা না যায়। এখন দেখার বিষয়, সাকিব ছাড়া বাংলাদেশের প্রথম বৈশ্বিক আসর কেমন যায়!
Leave a Reply