free tracking

My Blog

My WordPress Blog

বিসিবি সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে গেলেন তামিম!

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিকানা কিনেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা এই ক্লাবের পরিচালনা আর সম্ভব হচ্ছে না বলে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন মালিকানায় ক্লাবটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মিজানুর রহমান, আর তামিম ইকবাল হয়েছেন সহ-সভাপতি।

তামিমের এই উদ্যোগ শুধু একটি ক্লাবের মালিকানা গ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বোর্ডের সভাপতি হতে হলে প্রথমে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (ডিরেক্টর) হতে হয়। ক্লাব মালিকানা নেওয়ার মাধ্যমে তামিম ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন, যা ভবিষ্যতে বিসিবির প্রশাসনিক পদে আসার পথে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

বিসিবি সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সাধারণত ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা বা ক্রীড়া সংগঠকেরাই এই পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পান। বিসিবি সভাপতির নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

বিসিবি সভাপতি হওয়ার প্রধান যোগ্যতা:

বোর্ড পরিচালক হতে হবে: বিসিবির সভাপতি হতে হলে প্রথমে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (ডিরেক্টর) হতে হবে।

অর্থ, প্রশাসন ও ক্রীড়ায় অভিজ্ঞতা থাকা উচিত: বিসিবি পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক দক্ষতা ও ক্রীড়া সংগঠকের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারের সমর্থন প্রয়োজন: বিসিবির সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারের ভূমিকা থাকায়, সভাপতির ক্ষেত্রে সরকারের সমর্থন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বোঝার অভিজ্ঞতা: বিসিবির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে ক্রিকেট প্রশাসনের অভিজ্ঞতা থাকা ভালো।

বিসিবি সভাপতির নির্বাচনী প্রক্রিয়া:

বোর্ড পরিচালকদের নির্বাচন: বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ ২৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়, যাঁদের নির্বাচন প্রতি চার বছর পরপর হয়।

বোর্ড সভাপতি নির্বাচন: নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

সরকার অনুমোদিত নিয়োগ: অনেক ক্ষেত্রে সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সাধারণত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন: বেশিরভাগ সময় বোর্ডের অভ্যন্তরীণ আলোচনার মাধ্যমে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়।

তামিম ইকবাল ও বিসিবির ভবিষ্যৎ

তামিম ইকবাল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিকানা নেওয়ার মাধ্যমে ক্রিকেট প্রশাসনে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে তার বিসিবিতে ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যদি তিনি বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে জায়গা করে নিতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে সভাপতির দৌড়েও তিনি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন।
তবে বিসিবির সভাপতি হওয়ার জন্য শুধু ক্রীড়া অভিজ্ঞতা যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে প্রশাসনিক দক্ষতা এবং সরকারের সমর্থনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার বিষয়, তামিম ভবিষ্যতে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে প্রবেশের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় কেমন সফল হন।

তামিম ইকবালের এই নতুন উদ্যোগ দেশের ক্রিকেটে নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করছে। ক্রিকেট মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এবার তিনি প্রশাসনিক দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে বিসিবির নেতৃত্বে তাকে দেখা যাবে কিনা, সেটিই এখন কৌতূহলের বিষয়। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তামিমের এই নতুন যাত্রাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন এবং আশা করছেন, তিনি দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *