free tracking

My Blog

My WordPress Blog

শাশুড়ি আমার খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিল : আছিয়ার বোন!

“আমার শাশুড়ি সম্ভবত আমার খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল, কারণ আমি কিছুই বুঝতে পারিনি।”—এই বেদনাদায়ক কথাগুলো বলছিলেন আছিয়ার বোন, যার সামনে এক নিষ্পাপ প্রাণ অকালেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল।

রাতে তিনজন একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে সবকিছু বদলে গেল, তা বুঝতেই পারেননি তিনি। রাত আটটার পরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু ফজরের কিছু আগে উঠে তিনি দেখেন—দরজা খোলা এবং বোনটি নিথর হয়ে পড়ে আছে।

“আমি বাথরুম থেকে ফিরে দেখলাম ও পড়ে আছে। দরজার পাশ থেকে ওকে খাটে রাখলাম। তখনও বুঝতে পারিনি যে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। কিছু সময় পর ও কষ্টে কাঁদতে শুরু করে, বলছিল ‘আপু, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, শরীর জ্বালাপোড়া করছে।’”

তখনও তিনি ভাবছিলেন, হয়তো পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে, তাই তাকে ঘুমাতে বলেছিলেন। কিন্তু সকালে বুঝতে পারলেন যে আসল ঘটনা আরও ভয়াবহ।

“ওর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাচ্ছিল, হাত-পা শক্ত হয়ে আসছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হয়েছে?’ ও বলল ‘তারা আমার সাথে এটা করেছে।’ তখনও কিছুই বুঝতে পারিনি, কারণ আমাকেও ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল।”

সকালে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শেষবারের মতো সে বলেছিল—”আপু, আমাকে বাঁচাও!” কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।

“আমার বোনের এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের শ্বশুরবাড়ির সবাই জড়িত। তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। শুধু ফাঁসি দিলেই তাদের অপরাধের সাজা শেষ হবে না!”

আছিয়ার পরিবারের একটাই দাবি দোষীদের এমন শাস্তি দিতে হবে, যেন আর কোনো মেয়ে এমন অমানবিক পরিণতির শিকার না হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *