free tracking

My Blog

My WordPress Blog

নিজের বানানো আয়নাঘরে কেমন আছেন হাসিনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন গণভবনের পুকুরে বসে বর্ষার আনন্দে মাছ ধরছিলেন, ফটো সেশন করছিলেন বোনের সঙ্গে, আর রাজহাসদের দিকে আতপ চাল ছড়াচ্ছিলেন, ঠিক তখন ঢাকার কোন এক অন্ধকার কুঠুরিতে অন্য এক অমানবিক দৃশ্য হচ্ছিল। সেখানে এক ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছিল বৈদ্যুতিক শক, আর তার শরীরে মানবেতর যন্ত্রণা ভর করছিল। এই বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন, যেখানে একজন নিরীহ ব্যক্তির দুঃখে আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল, এমনকি তার মেয়ে ফোনে কান্না করছিলেন, “আব্বু, তুমি কানতেছো যে?”

সামাজিক এবং রাজনৈতিক অসামঞ্জস্য, যেখানে হাসিনার শাসনের প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গণভবনে রাজনীতির রাজহাসেরা যেখানে আনন্দে কাটাচ্ছিলেন, সেখানে সাধারণ জনগণের জীবন যেন এক ত্রাসের রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। হাসিনা এবং তার সরকার গোপনে চলমান নির্যাতন এবং শাসনের নৃশংসতা নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি, আর জনতার চোখে এই সত্যগুলো অনেক দিন আড়ালে ছিল।

বর্তমানে, হাসিনার শাসনের পেছনে গোপন কাজকর্ম এবং তার সরকারীয় তত্ত্বাবধানে জনগণের কষ্টের ব্যাপকতা এখন ধীরে ধীরে জনসমক্ষে চলে এসেছে। দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি এবং জনদুর্ভোগ বেড়ে চলেছে, যেখানে মানুষের জীবনযাত্রা এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি। হাসিনা এবং তার সরকারের কার্যক্রম নিয়ে ক্রমেই প্রকাশ্যে আসে গোপন তথ্য এবং ফোন রেকর্ড। যার মাধ্যমে পুরো বিশ্বের কাছে সরকারের কর্মকাণ্ডের অন্ধকার দিকগুলি ফাঁস হয়ে যায়।

হাসিনা এবং তার সরকার বর্তমানে এমন এক অবস্থায় আছেন, যেখানে দেশবাসী তার শাসনকালের অন্ধকার অধ্যায় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তিনি নিজে যেমন গণভবনে রাজহাসদের কাছে আতপ চাল ছড়াচ্ছেন, ঠিক তেমনিভাবে দেশের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক দৃশ্যে এক নৃশংস বাস্তবতা চলছে। নিজের হাতে তৈরী করা সেই “আয়নাঘরে” হাসিনা যেন এখন আটকে পড়েছেন, যেখানে তাকে আর তার দলের কর্মকাণ্ডের সামনে কোন পথ খোলা নেই।

এখন শেখ হাসিনার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে দেশটির নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবিচারের অভিযোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। একদিন যখন হাসিনার কৌশল এবং তার নির্দেশের সত্য প্রকাশ পাবে, তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *