ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫: সুস্থ জাতি গঠনে সেনাপ্রধানের আহ্বান
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, “আমরা একটি সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি দেখতে চাই। একটি সুস্থ জাতি দেশকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে।” তিনি শনিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।
ম্যারাথনের সূচনা ও প্রতিপাদ্য
শনিবার ভোর ৫টায় রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে শুরু হয় এবারের ম্যারাথন। “রান ফর ইউনিটি, রান ফর হিউম্যানিটি” প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ ম্যারাথনকে দেশের সবচেয়ে বড় ম্যারাথন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১০ হাজার দৌঁড়বিদ অংশ নেন, যার মধ্যে বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকজন বিদেশি দৌঁড়বিদও ছিলেন।
সেনাপ্রধানের বক্তব্য
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু জয়-পরাজয় নয়, বরং দেশ ও জাতিকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা।” তিনি আরও বলেন, “আজকের ম্যারাথন একটি অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ। এতে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
তিনি ঘোষণা দেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি আরও একটি আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বড় শহর ও জেলা শহরগুলোতেও একই ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তরুণ প্রজন্মের শারীরিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ
বর্তমান প্রজন্মের শারীরিক সক্রিয়তা কমে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেনাপ্রধান বলেন, “আগের মতো খেলার মাঠ নেই, সুযোগ-সুবিধাও কমে গেছে। তরুণরা শারীরিক কার্যকলাপে আগের মতো আর তেমন আগ্রহী নয়।”
তিনি জানান, “ম্যারাথনের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের শারীরিক কার্যকলাপে আগ্রহী করে তুলতে আমরা নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”
সুস্থ জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫ শুধু একটি ক্রীড়া ইভেন্ট নয়, এটি ছিল একটি সুস্থ জাতি গঠনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তরুণদের শারীরিকভাবে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি জাতীয় ঐক্য ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
সেনাপ্রধানের এই আহ্বান এবং ম্যারাথনের সফল আয়োজন তরুণদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে — এমনটাই আশা করছে দেশবাসী।
আপনার মতে, এমন উদ্যোগ আরও ব্যাপকভাবে হলে দেশের তরুণদের জীবনধারা কতটা পরিবর্তন হতে পারে?
Leave a Reply