free tracking

My Blog

My WordPress Blog

যে কারণে হারিয়ে যেতে পারে আওয়ামী লীগ,যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা!

ঢাকার আকাশে সন্ধ্যা নামছে। ব্যস্ত শহরের সড়কে গাড়ির হর্ন, রাজনৈতিক আলাপের গুঞ্জন আর নানা ধরনের আন্দোলনের কোলাহলে এক অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। বঙ্গভবনের পাশের সড়কে জমে উঠেছে জনজীবন। এক প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ধীরে ধীরে বললেন, “সময় বদলায়, রাজনীতির ধারা বদলায়। তবে, আওয়ামী লীগ কি সেই বদলটা বুঝে পারবে?” পাশে বসা তরুণ গবেষক একটু হেসে বললেন, “যদি সময়ের স্রোত না বোঝে, তবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতেই হবে।”

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর, আর ভারত তার স্বাধীনতা পেয়েছে ৭৭ বছর আগে। কিন্তু ভারতের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। একসময় কংগ্রেস ছিল দেশটির একমাত্র শক্তি, তবে সময়ের সাথে সাথে জনগণের চেতনাও বদলে গেছে। কংগ্রেস তার অহিংস আন্দোলনের ধারা থেকে সরে এসে নতুন রাজনৈতিক ভাষা খুঁজে নিয়েছে।

বাংলাদেশেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতি এক সময় ছিল বড় শক্তি, তবে নতুন প্রজন্ম কি সেই চেতনার রাজনীতি গ্রহণ করছে? তরুণরা নতুন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তারা মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করে, তবে তাদের প্রধান অনুপ্রেরণা এখন অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগ কি কেবল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে টিকে থাকতে পারবে? নাকি তাদের রাজনীতির ভাষা বদলাতে হবে? কংগ্রেসের মতো, আওয়ামী লীগেরও যদি নতুন রাজনৈতিক কৌশল না থাকে, তবে তারা হয়তো একদিন ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে।

রাজনীতির স্থিতিশীলতা কখনোই স্থির থাকে না, বরং এটি প্রবাহমান। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মতোই, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনও একসময় ছিল বড় ইস্যু, কিন্তু এখন সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া দলগুলো মূলধারার রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে।

এখন আওয়ামী লীগের সামনে দুটি পথ: একদিকে নদীর মতো প্রবাহিত হওয়া, অন্যদিকে স্থির হয়ে পড়া। ইতিহাসের গৌরব শুধু তরুণদের মন জয় করতে সাহায্য করবে না, তাদের সামনে স্পষ্ট পরিকল্পনা রাখতে হবে, যেন তারা বুঝতে পারে নতুন বাংলাদেশ কেমন হবে এবং তা কিভাবে এগিয়ে যাবে।

এক বৃদ্ধ বিশ্লেষক বললেন, “মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব, কিন্তু ভবিষ্যৎ শুধুই ইতিহাসের উপর নির্ভর করে গড়া যায় না। আওয়ামী লীগের সামনে দুটি পথ। যদি তারা সময়ের পরিবর্তন না বুঝে, তবে তাদেরও একদিন ইতিহাসের পাতায় স্থান নিতে হবে, যেমন মুসলিম লীগ কিংবা ন্যাপের মতো হারিয়ে যাওয়া দলগুলো।”

এমন অবস্থায়, আওয়ামী লীগকে তাদের রাজনীতির ভাষা পরিবর্তন করে নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, যদি তারা ভবিষ্যতে আরও কয়েক দশক ক্ষমতায় থাকতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *