free tracking

My Blog

My WordPress Blog

৩ কারণে খালেদা জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা!

শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এবং তাদের রাজনৈতিক বিরোধের উপর ভিত্তি করে তৈরি, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। শেখ হাসিনার উপর কিছু মনোবৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিক সমালোচনা করেছেন, যেখানে তাঁর প্রতিহিংসা, দুর্নীতি এবং খালেদা জিয়াকে নির্যাতনের বিষয়টি প্রধান ফোকাস।

শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে হিংসা করতেন কারণ তিনি নিজে তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। খালেদা জিয়া তার সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত আকর্ষণের কারণে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন, যা হাসিনাকে মেনে নিতে কষ্ট দেয়। হাসিনা হয়তো তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এই শক্তি এবং জনপ্রিয়তা সহ্য করতে পারেননি, এবং তার ফলে তাদের মধ্যে শত্রুতা গভীরতর হয়।

আরেকটি কারণ ছিল, খালেদা জিয়ার স্বামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বের জন্য হাজার হাজার মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করতেন, বিশেষ করে তার জানাজায় মানুষের ভিড় ছিল অভাবনীয়। তার তুলনায় শেখ মুজিবুর রহমানের জানাজায় মানুষের সমাগম ছিল কম, যা হাসিনার মনে সন্দেহ এবং হিংসার জন্ম দিয়েছিল।

অন্য একটি মূল কারণ ছিল, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সফলতা। শেখ হাসিনা তার ছেলেকে রাজনৈতিকভাবে সেভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি, কিন্তু খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেককে আওয়ামী লীগের বিপরীতে যথেষ্ট শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। এটা হাসিনার কাছে একটি বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, কারণ তার জন্য স্বাভাবিক ছিল না যে, তার প্রতিপক্ষের পরিবারের সদস্যরা এতটা প্রতিষ্ঠিত হবে।

হাসিনা খালেদা জিয়াকে শুধু ব্যক্তিগত হিংসা থেকে নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে শত্রু মনে করে নানা ধরনের নির্যাতন চালিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় জড়ানো হয়েছে, এবং তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই কার্যকলাপগুলি হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

২০১৪ সাল থেকে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিরোধী দলগুলোর কোন জায়গা ছিল না। খালেদা জিয়া কারাগারে আটক থাকার পর, তার মুক্তির জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন এবং দাবি উঠেছিল। তবে, হাসিনার সরকার তার প্রতি তীব্র প্রতিহিংসা প্রদর্শন করেছিল, যার ফলে তার মুক্তি এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়াও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল।

সাধারণত রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রতি তীব্র মনোভাব প্রকাশ করে। এটি একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যাখ্যাগত সমালোচনা হিসেবে আসতে পারে, যেখানে শেখ হাসিনার উপর দুর্নীতি, প্রতিহিংসা, এবং ব্যক্তিগত ঈর্ষার অভিযোগ উঠেছে। তবে, এসব দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে কিছুটা পক্ষপাতিত্ব থাকতে পারে, কারণ রাজনৈতিক শত্রুতাগুলোর পেছনে অনেক গভীর ও জটিল ঘটনা থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *