হার্ট বা হৃদপিণ্ড শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি যদি ঠিকভাবে কাজ না করে, তবে শরীরের অন্যান্য অংশ পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন পায় না, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। হার্টের সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে অথবা হঠাৎ করেই গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
১. বুকে ব্যথা ও অস্বস্তি
হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করা। ব্যথাটি বুকে চাপা অনুভূতি, জ্বালাপোড়া বা ভারী কিছু চেপে ধরার মতো হতে পারে। এটি বাম হাত, পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্রামের পরও ব্যথা না কমলে তা হার্টের গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
২. শ্বাসকষ্ট ও সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
সামান্য কাজেই যদি হাঁপিয়ে যান বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তবে তা হার্টের কার্যকারিতা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় ঘুমানোর সময় বা শোয়া অবস্থায় শ্বাসকষ্ট বেশি হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ হতে পারে। যদি হঠাৎ করে প্রচণ্ড ক্লান্তি আসে, যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তবে তা হার্টের রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা বা হার্ট ফেইলিউরের লক্ষণ হতে পারে।
৩. হাত-পা ফুলে যাওয়া ও মাথা ঘোরা
হার্ট যদি ঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে না পারে, তাহলে শরীরে ফ্লুইড জমে গিয়ে হাত-পা ফুলে যেতে পারে। বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি, পা ও পায়ের আঙুল ফুলে গেলে তা হার্টের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ। মাথা ঘোরা বা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার (Arrhythmia) লক্ষণ হতে পারে। হঠাৎ খুব দুর্বল লাগলে বা চোখে অন্ধকার দেখলে, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হার্ট ভালো রাখতে করণীয়:
✅ লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
✅ নিয়মিত হাঁটুন ও ব্যায়াম করুন, বিশেষ করে হার্টের জন্য উপকারী ব্যায়াম করুন।
✅ ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন, এগুলো হার্টের ক্ষতি করে।
✅ ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
✅ মানসিক চাপ কমান, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন।
উপরোক্ত লক্ষণগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, কারণ সময়মতো চিকিৎসা নিলে হার্টের অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
Leave a Reply