free tracking

My Blog

My WordPress Blog

হার্ট অ্যাটাকের ৬টি লক্ষণ, করণীয় কী?

নানা কারণেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক এর চিকিৎসা করাতে না পারলে তৈরি হয় ঝুঁকি। ফলে এর জন্য সচেতন থাকা অত্যাবশ্যক।

১. বুকব্যথা

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশ অনেক আগে থেকে এবং ৬৮ শতাংশের কিছুদিন আগে থেকে হালকা ব্যথা ছিল। সুতরাং বুকব্যথা হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।

২. বুকে ভারবোধ

ওই একই গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ রোগীর বুকে ভারবোধ ছিল। বুকে ভারবোধ রোগীরা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেন, বুকে চাপ বা অস্বস্তি বোধও হতে পারে। অনেকে ভারী কাজ করার পর বা দ্রুত হাঁটার পর বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পরও বুকে ভারবোধ করতে পারেন।

৩. বুক ধড়ফড়

একই গবেষণায় ৪২ শতাংশ রোগী আগে বুক ধড়ফড়ের লক্ষণ ছিল। সুতরাং এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদচিহ্ন। এ ক্ষেত্রে রোগী অনুভব করেন, হৃৎপিণ্ড খুব দ্রুত লাফাচ্ছে। অনেকে মাঝেমধ্যে হার্টবিট মিসের কথাও বলেন।

৪. শ্বাসকষ্ট বা হাঁপিয়ে যাওয়া

এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদচিহ্ন। অনেকে বলেন, ভারী কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যান, একেও হালকাভাবে দেখা উচিত নয়। অনেকের আবার বিশ্রামরত অবস্থায়ও এ রকম হতে পারে।

৫. বুক জ্বালাপোড়া

বুক জ্বালাপোড়া শুনলেই অনেকে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা ভাবেন আর দিনের পর দিন গ্যাসের ওষুধ খেয়ে যান। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যা হলেও যদি দেখা যায় ওষুধে কাজ হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৬. দুর্বলতা বা ক্লান্তিবোধ

দুর্বলতা বা ক্লান্তিবোধ অনেক সমস্যা বা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক হার্ট অ্যাটাকের রোগীর শুরুর দিকে এ রকম ক্লান্তিবোধ হয়। সুতরাং এটিও একটি বিপদচিহ্ন হতে পারে।

পাঁচ হাজার দাম চাইলে আড়াই হাজার বলতে হবে, ভাবলেই ঠকে যাবেন
ঈদ কেনাকাটায় দর-কষাকষি
পাঁচ হাজার দাম চাইলে আড়াই হাজার বলতে হবে, ভাবলেই ঠকে যাবেন
বিস্তারিত পড়ুন
এর পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষণ বা বিপদচিহ্ন মাথায় রাখতে হবে। যেমন মাথা ঝিমঝিম, পা ফোলা বা পা ভারী বোধ হওয়া, বমিভাব, অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা। এসব প্রথম ছয়টির মতো অবশ্য বেশি পরিলক্ষিত হয় না। এখনো পর্যন্ত দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে পূর্ব লক্ষণ বা বিপদচিহ্ন বেশি দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।

অনেক রোগীর কোনো বিপদচিহ্ন ছাড়াই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়। তাঁদের অনেকে আবার এসব বিপদচিহ্ন বুঝতে পারেন না বা অগ্রাহ্য করেন। হার্ট অ্যাটাকে যেহেতু মৃত্যুঝুঁকি থাকে, সুতরাং এসব ব্যাপার অবশ্যই আমলে নেওয়া উচিত।

হার্ট অ্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে করণীয়

হুট করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু। এমন আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর আশপাশে প্রায়ই শোনা যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর সংকেত পাঠায়। প্রথমে বুকে অল্প ব্যথার সঙ্গে অস্বস্তি থাকে। বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়। কয়েক মিনিট ধরে ব্যথা থাকে। মাঝেমাঝে ব্যথা চলে যায় আবার ফিরে আসে।

একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। অনেক সময় পিঠ, ঘাড়, চোয়াল ও পাকস্থলীতেও অস্বস্তি হয়। বুকে অস্বস্তির সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে। ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ও বমি ভাব হতে পারে।

উপসর্গ বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে বড় ক্ষতি এড়ানো যায়। মূলত হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপসহ নানা কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে ভয় পাবেন না। দ্রুত জোরে ও ঘন ঘন কাশি দেবেন, যেন কাশির সঙ্গে কফ বের হয়ে আসে। প্রতিবার কাশি দেওয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিন।

এভাবে ঘন ঘন কাশি ও দীর্ঘশ্বাস-প্রতি দুই মিনিট পরপর করতে থাকুন। এতে করে আপনার হৃৎপিণ্ড কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। হাসপাতালে নেওয়ার আগে এটি রোগীকে সাপোর্ট দেবে অনেকখানি। কারণ, দীর্ঘশ্বাসের ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হয় এবং ঘন ঘন কাশি দেওয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয়, তাতে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *