free tracking

My Blog

My WordPress Blog

নিজে রেলে চড়ে অফিস করেন! আশ্বাস দেন, লোডশেডিং হলে আগে ঢাকায় হবে, পরে গ্রামে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আমরা সাধারণত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে থাকি। তবে সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজেরও প্রশংসা করা উচিত—এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, রেল, সড়ক ও জনগণকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বকেয়া পরিশোধের পরিমাণ একসময় ছিল ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের নিরলস প্রচেষ্টায় এই বকেয়া এখন কমে এসেছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, এবারের ঈদে দেশের সড়কপথে যান চলাচল ছিল তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক। সরকার যাত্রীদের ন্যায্য ভাড়ায় বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা দিতে সফলভাবে কাজ করেছে। আগের মতো দীর্ঘ যানজট বা ট্রেনের টিকিটের জন্য বিশাল লাইনের ভোগান্তিও দেখা যায়নি।

রমজান মাসজুড়ে যেখানে লোডশেডিং সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনে, সেখানে এবার দেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আগেভাগেই উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও তার টিম কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। এর সুফল ভোগ করেছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।

রেলখাত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এনসিপি নেতা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে তিলে তিলে ধ্বংস হওয়া রেলখাতকে বাঁচাতে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা আমাদের করা উচিত। তিনি যখন নিজে রেলে চড়ে অফিস করেন, তখন মনে হয়—তিনি সত্যিই সঠিক ট্র্যাকে আছেন।”

তিনি জানান, রেলওয়ের হাসপাতালগুলোতে এখন থেকে সাধারণ মানুষও চিকিৎসা সেবা পাবেন। এই উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি সেবা পাওয়ার সুযোগ আরও বাড়াবে।

সন্দ্বীপের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে উপদেষ্টার নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে কেউ সেখানে কাজ করেনি—শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। অথচ ফাওজুল কবির খান সেখানে বাস্তব উন্নয়ন কাজ করছেন, নিজের নামে কোনো স্মৃতিচিহ্ন রাখছেন না, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাম লেখাচ্ছেন না, বাহাদুরি দেখাচ্ছেন না—কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন, কাজই মানুষকে বড় করে।

বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা সত্ত্বেও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং ছিল নিত্যদিনের দুর্ভোগ। সেই প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টার ঘোষণা—“লোডশেডিং হলে আগে ঢাকায় হবে, পরে গ্রামে”—গ্রামীণ জনপদের মানুষের আশাবাদ বাড়িয়েছে। কাঠামোগত বৈষম্য হ্রাসে এটি এক সাহসী অবস্থান বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সবচেয়ে মুগ্ধ হওয়ার দৃষ্টান্ত হিসেবে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “যখন তিনি বলেন—সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকার নিচ্ছে এবং দুর্ঘটনায় সরকারি সংস্থার গাফিলতি থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তখন বুঝি আমাদের সংস্কৃতিতে একটি নতুন পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।”

শেষে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আগামীর বাংলাদেশকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিতে ফাওজুল কবির খানকে ধন্যবাদ। তরুণ প্রজন্ম কি পারবে তার কর্মউদ্যম, সততা এবং দেশপ্রেমকে ধারণ করে বাংলাদেশের হাল ধরতে? এই আত্ম-অনুসন্ধানটাই এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি।”

ইনকিলাব জিন্দাবাদ!

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/15i5ubSKVn/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *