আওয়ামী লীগের যেসব নেতা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে রক্তপাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে এবং তারা বড় ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত, মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের লিডার যারা বাইরে গেছে, এদের বেশিরভাগের হাতেই রক্ত আছে। তারা বড়রকমের হিউম্যান রাইটস অ্যাবিউজের একিউজড। যারা যারা অভিযুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে বড় রকমের করাপশনের মামলা আছে, তাদের সবার ব্যাপারেই আমরা সিরিয়াস এবং প্রত্যেককেই আমরা ইভেনচুয়ালি প্রত্যাবাসন চাইব। তাদেরকে বাংলাদেশের আইনকে ফেস করতে হবে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, আমাদের পরবর্তী যে কোনো সরকারের জন্য এটা একটা নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের কাজটা খুব ভালোভাবে করবো এবং আমরা আশা করবো আমরাই যেন কাজটা শেষ করে যেতে পারি। আর যদি আমরা এটা আমাদের সময়ে না করতে পারি, আমাদের যারা নেক্সট সরকার আসছে তারাও এই কাজটাই করবেন। কেননা, এরা বাংলাদেশের মানুষের টাকা চুরি করে নিয়ে বাইরে গিয়ে মোজ-মাস্তি করছেন। তাদেরকে ফেরানো আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব—এ কাজটা আমরা করবো।”
প্রেস সচিবের দাবি, “আওয়ামী লীগের লিডার যারা বাইরে গিয়েছে, এদের বেশিরভাগের হাতেই রক্ত আছে। তাদের অনেকে বড় বড় করপশনে জড়িত। এক একজনের একাউন্টে কত টাকা ট্রানজ্যাকশনের হিসাব আমরা পেয়েছি! আমার বা আপনার একাউন্টে তো এক কোটি টাকা ট্রানজ্যাকশনও দেখা যায় না, অথচ এক একজনের ৮০০/৯০০/১২০০ কোটি টাকা ট্রানজ্যাকশন হয়েছে। একটা সরকারি কর্মচারি বা একটা মিনিস্টারের সেক্রেটারি উনি কত টাকা পান?”
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/17hkZH78T8/
Leave a Reply