free tracking

My Blog

My WordPress Blog

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরাপত্তায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তান। ভারত বাদে বিশ্বের শীর্ষ ছয়টি ক্রিকেটখেলুড়ে দেশ এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পাকিস্তান সফর করবে। রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও করাচিতে হবে টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচ। তাই এই তিন শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া প্রত্যেক দলের কোচ-ক্রিকেটার-স্টাফরা পাবেন রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের নিরাপত্তা। সব মিলিয়ে সাড়ে ১৭ হাজার নিরাপত্তারক্ষী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে থাকবেন। এর মধ্যে লাহোরে ৭ হাজার ৬০০ জন, রাওয়ালপিন্ডিতে ৪ হাজার ৫০০ জন এবং করাচিতে ৫ হাজার নিরাপত্তারক্ষী নিয়োজিত থাকবেন।

ক্রিকেটারদের হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে আসা-যাওয়ার পথে থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। সতর্ক নজর থাকবে স্নাইপারের, পাশাপাশি আকাশ পথেও থাকবে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকানোর প্রস্তুতি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালে যেসব শহরে খেলা নেই সেখানেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

প্রায় ২৯ বছর পর কোনো আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করতে যাওয়া পাকিস্তান এবার নিরাপত্তার দিক দিয়ে কোনো খামতি রাখতে চায় না। কারণ এই ‘নিরাপত্তা’ ইস্যুতেই দীর্ঘকাল পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সফরে অস্বীকৃতি জানায় সব ক্রিকেটখেলুড়ে দেশ।

তবে গত কয়েক বছরে নিরাপত্তা ইস্যুতে আইসিসি এবং সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ পাকিস্তানে দ্বিপাক্ষিক সফর করেছে। ২০২৩ সালে সফলভাবে এশিয়া কাপও আয়োজন করেছে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হওয়ার সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *