free tracking

My Blog

My WordPress Blog

প্রথম ডেটেই মানব মাংস খেতে চাইলেন প্রেমিক, অতঃপর যা করলো প্রেমিকা!

অনলাইন ডেটিংয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। তবে ব্রিটেনের হান্না ডেভিসের কাহিনি অনেকের চেয়ে একেবারে আলাদা। সম্প্রতি টিকটকে নিজের ‘সবচেয়ে বাজে ডেট’ নিয়ে গল্প করতে গিয়ে তিনি জানান, এক লোকের সঙ্গে প্রথম ডেটেই শুনতে হয় “মানুষের মাংস খাওয়ার” ইচ্ছার কথা!

ঘটনাটি ২০১৯ সালের, যখন হান্না সদ্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ইতি টেনে অনলাইন ডেটিং অ্যাপে নাম লেখান। ডেটিংয়ের ব্যাপারে একেবারেই নতুন হান্না তখন একজনকে “সেক্সি” মনে হওয়ায় ম্যাচ করেন। প্রায় দুই সপ্তাহ নিয়মিত মেসেজিংয়ের পর পুরুষটি তাকে দেখা করার প্রস্তাব দেয় এবং হান্নাও রাজি হন। প্রথমেই অস্বস্তিকর ইঙ্গিত তবে ডেটের আগেই কিছু অদ্ভুত লক্ষণ মিলতে শুরু করে—পুরুষটি তাকে পূর্ণাঙ্গ নগ্ন ছবি পাঠায়। হান্না এসবকে তখনকার ডেটিং সংস্কৃতির অংশ ভেবেই উপেক্ষা করেন।

ডেটের দিন একটি পাব-এ দেখা হয়। সেখানে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি একজন কড়া ভেগান এবং হান্নার খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আপত্তি নেই, যতক্ষণ না তিনি তার সামনে মাংস খান। হান্না তখন অর্ডার করেন চিজি গার্লিক মাশরুম, যা মাংস নয়। কিন্তু সেই অর্ডারেই ফেটে পড়ে আসল রূপ “ডেট শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই সে পাবের মধ্যে আমার ওপর চিৎকার শুরু করে,” বলেন হান্না। “সে বলতে থাকে চিজ খাওয়া মানে পশু নির্যাতন, এবং আমি ওই খাবার খেয়ে প্রাণী হত্যা করছি।” এরপর আরও অবাক করা ঘটনা ঘটে। ব্যক্তি হান্নাকে জানায়, তার জীবনের ‘বাকেট লিস্ট’-এ একটি ইচ্ছা আছে—মানবমাংস খাওয়া! এতক্ষণ সহ্য করা হান্না তখন বিষয়টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে ধরে নিয়ে ডেট শেষ করে বাড়ি ফিরে যান।

তবে এখানেই শেষ নয় অবাক করার মতো বিষয় হলো, ওই ব্যক্তি পরে হান্নার সঙ্গে আবার দেখা করতে চায় এবং আশ্চর্য হয় কেন হান্না দ্বিতীয়বার দেখা করতে রাজি নন! হান্নার ধারণা, হয়তো সে অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিল এবং ডেটে বলা কথাগুলো মনে নেই। হান্নার পোস্টের নিচে অনেকেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানান। কেউ বলেন, “একজন ভেগান হয়ে মানুষের মাংস খাওয়ার ইচ্ছা—এটা তো বিপরীতমুখী যুক্তি!” আরেকজন লেখেন, “প্রাণীর মাংস খারাপ, মানুষেরটা ভালো—ভেগান সোসাইটির নতুন স্লোগান কি?”

আসলে যুক্তরাজ্যে মানব মাংস খাওয়া সরাসরি অবৈধ নয়। তবে যদি কাউকে খুন করে খাওয়া হয়, তা অবশ্যই খুন হিসেবে গণ্য হবে। কেউ স্বাভাবিকভাবে মারা গেলে তার দেহ খাওয়া আইনত অপরাধ না হলেও তা ‘অশোভন’ বা ‘অশ্লীল’ হিসেবে ধরা পড়লে বিচার হতে পারে। ১৯৮৮ সালে লন্ডনের ওয়ালথামস্টোতে রিক গিবসন নামের এক শিল্পী জনসম্মুখে দানকৃত মানুষের টনসিল খেয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। কিন্তু যেহেতু তা বৈধ উৎস থেকে এসেছিল, তিনি কোনও অপরাধে দণ্ডিত হননি।

এই অদ্ভুত ডেটিং কাহিনি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—অনলাইন প্রেমে নামার আগে সতর্ক থাকা জরুরি, নইলে “প্রথম ডেটেই ক্যানিবাল!” ঘটনা সত্যিই সিনেমার চেয়েও অদ্ভুত হয়ে উঠতে পারে।

সূত্র: https://shorturl.at/RKhwJ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *